বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুরসভার প্রশাসক তথা আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক শ্রীরাজেশ বলেন, বর্ষায় শহরের জমা জল বের করে দিতে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুর এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এনিয়ে পুর এলাকার নাগরিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সেচদপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার প্রিয়ম গোস্বামী বলেন, কালজানি বাঁধের ১৪টি স্ল্যুইস গেট সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু কালজানির চর উঁচু হওয়ায় নদীর জল শহরে ঢোকা রুখতে তখন গেটগুলি বাধ্য হয়ে বন্ধ করে রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।
জুন মাসে রাজ্যে মৌসুমী বায়ু ঢুকলেই সরকারিভাবে বর্ষা শুরু হয়ে যাবে। আর বর্ষা এলেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে থাকে আলিপুরদুয়ার পুর এলাকার বাসিন্দারা। সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক রাতে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেই আলিপুরদুয়ার পুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। কিন্তু শহরে জল নিষ্কাশনের আধুনিক ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বছর বাসিন্দাদের টানা দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত জলবন্দি দশায় কাটাতে হয়। সেচদপ্তর জানিয়েছে, শহর থেকে কালজানির চর উঁচু হওয়াতেই শহরে জমা জল স্ল্যুইস গেট দিয়ে নদীতে গিয়ে পড়ে না।
পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির নোডাল অফিসার বিমলেন্দু তালুকদার বলেন, পুর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নৌকা, পাম্প মেশিন ও ফ্লাড শেল্টার চিহ্নিতকরণ সহ সব ধরনের আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১ জুন থেকে পুরসভায় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে।
পুরসভা জানিয়েছে, পুরসভায় এই মুহূর্তে একটি স্পিড বোট ও চারটি দেশি নৌকা আছে। আরও একটি স্পিড বোট ও কয়েকটি দেশি নৌকা চাওয়া হয়েছে মহকুমা প্রশাসনের কাছে। শহরের ৮ এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি স্থায়ী ফ্লাড শেল্টার আছে। আপদকালীন ব্যবস্থা হিসাবে পুর এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলিকেও তৈরি করে রাখা হচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে পুর কর্তৃপক্ষ যাই দাবি করুক না কেন সব মিলিয়ে পুর এলাকার নাগরিকদের এবারও জলবন্দি দশায় কাটাতে হবে।