বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, দুই জেলায় মোট ৪৪ জন পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। মালদহের ৩১ জন করোনা রোগীর মধ্যে ১৮ জনের বাড়ি ইংলিশবাজার ব্লকের মিল্কি এলাকায়। বাকিরা জেলার অন্যান্য ব্লক এলাকার বাসিন্দা। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৮৭। শনিবার অবশ্য ১০ জন সুস্থ হয়ে জেলার কোভিড হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। জেলাশাসক আরও বলেন, এর আগে জেলার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। রোগীদের সুষ্ঠু হিসেব নিয়ে এদিন পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। মালদহে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যেই করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে। জেলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি। এমনকি আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই শরীরে কোভিড-১৯’র কোনও উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়নি। জেলায় বেশি মাত্রায় পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেইকারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এনিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সকলকে সরকারি নির্দেশ মেনে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
এদিকে, মানিকচকের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে শনিবার মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মণ্ডলের উদ্যোগে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিলি করা হয়।
এদিকে, ১৩ জন নতুন রোগী বাড়ায় উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট ৩৫ জন করোনা রোগে আক্রান্ত হলেন। সকলেই অবশ্য পরিযায়ী শ্রমিক বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। আক্রান্তদের চিহ্নিত করে চিকিৎসা চালু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিকে, জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বেশকিছু এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলার করোনা আক্রান্তরা কোন এলাকার বাসিন্দা সেসম্পর্কেও উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান সরাসরি কোনও কিছু জানাতে চাননি। তবে সূত্রের খবর, আক্রান্তরা কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ ও ইটাহার ব্লকের বাসিন্দা। সকলেই সম্প্রতি বাইরে থেকে জেলায় ফিরেছেন। আক্রান্তদের রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে। কারও কোনও উপসর্গ দেখা গেলেই তাকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের নিয়মিত ওইসব পরিবারগুলোর ওপর নজর রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমার বাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এক পরিযায়ী শ্রমিক হরিয়ানা থেকে গত ১৪ তারিখে জেলায় আসেন। ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর ওই শ্রমিকের লালারস নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল। তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এছাড়াও ওই মহকুমারই বেলবাড়ি এলাকার দুই শ্রমিক মহারাষ্ট্র থেকে গত ২২ তারিখ আসেন জেলায়। ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর তাঁদের সোয়াব সংগ্রহ করে বালুরঘাট হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। সেখানে ওই দু’জনের প্রাথমিক রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে সেই নমুনা আবারও পরীক্ষা করা হবে। তারপরেই চূড়ান্ত করে বলা যাবে যে সেই দু’জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কি না।