বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মুষলধারে বৃষ্টির কারণে পুরাতন মালদহের কয়েকশো হেক্টর চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টিতে চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর পেয়ে বুধবার কৃষি দপ্তরের কর্তারা ফিল্ড ভিজিট করেন। সে সময় চাষিদের বিক্ষোভের মুখেও পড়েন কৃষি দপ্তরের কর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের ঘিরে ধরে ক্ষতিপূরণের দাবি তোলেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। ফিল্ড ভিজিটের পর প্রায় ২৮০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষি কর্তারা।
এদিন সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। যদিও উত্তর মালদহের এলাকাগুলিতে পথেঘাটে জল জমে যাওয়ায় গ্রামবাসীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষ দিনে জল কাদাকে সঙ্গী করেই পরীক্ষাকেন্দ্রে যায় পরীক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে পুরাতন মালদহ ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের আলুচাষি মনতোষ রাজবংশী বলেন, আলু চাষের মরশুমে এধরনের অকালবৃষ্টি কখনই দেখিনি। একেবারে বন্যার মতো পরিস্থিতি। এবছর নয় বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। তার মধ্যে ছয় বিঘা জমিই জলের তলায় চলে গিয়েছে। এদিন সকালে জমিতে এসে দেখি সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। কি করব ভেবে পাচ্ছি না। বিষয়টি কৃষি দপ্তরের কর্তাদের জানিয়েছি। আমার মত হাজারো চাষির এধরনের অবস্থা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এবিষয়ে পুরাতন মালদহ ব্লক কৃষিদপ্তরের সহ কৃষি অধিকর্তা সাইফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। তাতে মহিষবাথানি এবং ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ৩৭ টি মৌজা ক্ষতিগ্রস্ত। যেসব জায়গায় ডুবে গিয়েছে সেগুলি পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, প্রায় ২৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। আমরা একটি রিপোর্ট কৃষিদপ্তরে পাঠাব। জেলার উদ্যানপালন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর কৃষ্ণেন্দু নন্দন বলেন, যে সমস্ত এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে সেই এলাকাগুলিতেই শুধু আমের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাছাড়া আম চাষে সে অর্থে কোনও ক্ষতি হবে না। এনিয়ে আমচাষিদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের হারেজ আলি বলেন, হাজার হাজার বিঘা জমি বৃষ্টির জলে ডুবে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতি হবে, আমরা ভাবতে পারিনি। প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে মিলে এলাকা পরিদর্শন করেছি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকরা ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন।
আরএসপির জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পাণ্ডে বলেন, পুরাতন মালদহ ব্লকে আলু চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরিষা, ভুট্টা সহ অন্যান্য ফসলওসেই তালিকায় রয়েছে। আমরা কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাব।
মঙ্গলবার বিকেল থেকেই উত্তর মালদহের পুরাতন মালদহ, গাজোলের একাংশ হরিশ্চন্দ্রপুরের মতো এলাকায় বৃষ্টি হয়। রাতে কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে কৃষিজমি জলে ভরে যায়।