বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মালদহ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিজয় কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, গাজোলের আলালে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাজোল ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুজন অধিকারী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে টিম নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে মৃত্যুর কারণ আমরা খতিয়ে দেখেছি। যদিও কী কারণে মৃত্যু হয়েছে সেবিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমাদের ধারণা, খাদ্যে বিষক্রিয়া থাকে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বিষ ফল খেয়েও এই ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মৃত ফিরোজের বাবা আব্দুল খাবির বলেন, ছেলে বাড়িতে এসে ছটফট করছিল। আমরা কারণ বুঝে উঠতে পারছিলাম না। স্থানীয় কবিরাজকে ডাকি। তিনি কিছুক্ষণ বাড়িতে দেখেন। সমস্যা না মিটলে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই সব শেষ। মৃত আরেক শিশু সফিকুলের মামা শহিদুর রহমান বলেন, আমার তিন ভাগ্নে-ভাগ্নি একই সময় অসুস্থ হয়েছে। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম সাধারণ কোনও অসুখ হবে। সময় গড়াতে তাদের যন্ত্রণা বেড়ে গিয়েছিল। এলাকার এক কবিরাজকে ডেকে পাঠাই। তিনি এসে কিছুক্ষণ দেখে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। তিনি কোনও চিকিৎসা করেননি। চারজন তিন হাঁড়ির ভাত খেয়েছে। খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে পরিবারের সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়ত। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বাসির বলেন, হঠাৎ করে চার শিশু অসুস্থ হয়ে দু’জনের মৃত্যুতে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়েছি। এ ধরনের ঘটনা এর আগে ঘটেনি। গাজোল থানার ওসি হারাধন দে বলেন, ঘটনার জেরে কবিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চার শিশু গ্রামের মসজিদের পিছনে বাঁশঝাড়ে খেলা করছিল। সন্ধ্যা নাগাদ তারা সকলেই বাড়ি এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সকলেরই পেট ব্যথা, বমি শুরু হয়। পরিবারের সদস্যরা এ ধরনের উপসর্গ হাওয়াই স্থানীয় এক কবিরাজকে ডেকে পাঠান। তিনি এসে প্রাথমিক চিকিৎসা করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। তারপর কয়েক ঘণ্টার ব্যাবধানে দুই শিশু মারা যায়। বাকি দুই বোন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আশেপাশে পড়ে থাকা খাবারের প্যাকেট পরীক্ষা করে কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেন। তবে এখনও কারণ জানা যায়নি।