বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জাহাঙ্গীরপুর হাই স্কুলের সরস্বতীপুজোর মণ্ডপে এবার দেখা মিলল চন্দ্রাযানের চাঁদের মাটিতে অবতরণের দৃশ্য। চন্দ্রযান-২ চন্দ্রপৃষ্ঠে সফল অবতরণ না করতে পারায় ভারতবাসী আশাহত হয়েছিলেন। সেই দুঃখ ভোলাতেই এবার গঙ্গারামপুর জাহাঙ্গীরপুর হাই স্কুলের সরস্বতী বন্দনায় দেখা মিলল স্বপ্নপূরণের দৃশ্যের। সেখানে পড়ুয়াদের হাতে চাঁদের পিঠে সফলভাবেই নামরে পেরেছে চন্দ্রযান। এদিকে সেই চন্দ্রযানে চেপে সরস্বতী চাঁদের মাটিতে নামতেই চন্দ্রপৃষ্ঠেও হয়েছে প্রাণের সঞ্চার। আর সেখানেই সরস্বতীর পুজো করছেন ভক্তরা। অভিনব এই কাল্পনিক ভাবনা ফুটিয়ে তুলেছেন স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্ররা। দিনরাত খেটে তাঁরা নিজেরাই চন্দ্রযান-৩-এর মডেল তৈরি করে ফেলেছেন। গঙ্গারামপুর জাহাঙ্গীরপুর হাই স্কুলের সরস্বতী পুজোতে অভিনব থিমের মণ্ডপ দেখার জন্য এদিন গোটা মহকুমাজুড়ে সাড়া পড়ে যায়।
অপরদিকে, গঙ্গারামপুর বেলবাড়ি হাই স্কুলে এই প্রথমবার শিক্ষক ও ছাত্ররা মণ্ডপ সজ্জার কাজ করেছেন থিম ভাবনার উপর নির্ভর করে। এবারে গঙ্গারামপুর বেলবাড়ি হাই স্কুলে গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কালের বিবর্তনের ফলে গ্রাম আধুনিকতার ছোয়ায় ক্রমশ শহরের রূপ নিচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের ঐতিহ্য। স্কুলের মাঠেই গ্রামের পরিবেশ ফুটিয়ে তুলেছেন পড়ুয়া ও শিক্ষকরা মিলে। সেখানে পুকুরে মিক্সড ফার্মিং, জল ধরো জল ভরো, জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা কিচেন গার্ডেন ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছে। গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের জীবনযাপন, তাঁদের জীবিকা ও কৃষিকাজ প্রাধান্য পেয়েছে থিম ভাবনাতে। মূলত শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রদের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সকলে মিলে একসঙ্গে মণ্ডপসজ্জার কাজ করেছেন। মাঠে ছাত্রী ও শিক্ষিকারা আল্পনাও দিয়েছেন। এদিন ওই স্কুলেও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
জাহাঙ্গীরপুর হাই স্কুলের সহ শিক্ষক সর্বজিৎ গুহ বলেন, এবারে সরস্বতী পুজোর আগে থেকেই স্কুলের ছাত্র ছাত্রী একটু আলাদা ভাবে পুজোর আয়োজন করার আবেদন করেছিল। আমরাও গতানুগতিকভাবে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা থেকে একটু আলাদা কিছু করে দেখানোর কথা ভাবি। সেই থেকেই চন্দ্রযানের কথা মাথায় আসে। চন্দ্রযান-২-এর মিশন সম্পূর্ণ সফল না হওয়ায় আমরা সকলেই আশাহত হয়েছি। সবারই জানার ইচ্ছা ছিল আসলে কি রয়েছে চাঁদের মাটিতে। কাল্পনিক ভাবে আমরা চন্দ্রযান-৩ বানিয়ে তাকে চাঁদে নামিয়ে চাঁদের মাটিতেই সরস্বতী পুজোর আয়োজন করছি। চন্দ্রযান বানাতে গিয়ে আমাদের রীতিমতো পড়াশোনা করতে হয়েছে।
গঙ্গারামপুর বেলবাড়ি হাই স্কুলের সহ শিক্ষক রাজর্ষি চৌধুরী বলেন, বর্তমান দিনে শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তার আঁচ পড়েছে অভিভাবক মহলেও। ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে সুসম্পর্ক ও মেলবন্ধন তৈরি করতে একসঙ্গে মিলে নতুন কিছু করার উদ্যোগ থেকেই থিম ভাবনায় সরস্বতী পুজো করা।