বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মালদহে আন্তঃজেলা ভোজ্যতেল পাচার কাণ্ডে হইচই পড়ে গিয়েছে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বহু তেল হাপিস হয়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিস এমনই ইঙ্গিত পেয়েছে। যদিও পুলিসের তৎপরতায় পাচার হয়ে যাওয়া ভোজ্য তেলের অনেকটা অংশ উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে পুরোটা সম্ভব হয়নি। পুলিসের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী ১৫ কেজি ওজনের ভোজ্যতেলের ২৯০টি টিন এখনও উধাও রয়েছে। চালক-খালাসি যোগসাজশ করে তেল পাচারের ফন্দি আঁটার পর সেই তেল তারা নিয়ে যায় কালিয়াচকের একটি গোডাউনে। সেখানে তেল রেখে বেরিয়ে আসার পর তারা গাড়িতে লুটপাট হওয়ার অভিনয় করে। কয়েক ঘণ্টা পরই পুলিস তাদের ‘উদ্ধার’ করে। তারপর তাদের কথা শুনে সন্দেহ হওয়ায় পুলিস অভিযান চালিয়ে ওই তেলের সন্ধান পায়। কিন্তু সেই কয়েক ঘণ্টাতেই অনেক তেল সেখান থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। এব্যাপারে পুলিস তদন্ত চালিয়ে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে কোনও তথ্য জানতে পারেননি। স্বভাবতই মালদহে আন্তঃজেলা ভোজ্যতেল পাচার চক্রের বিস্তৃত জাল ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মালদহের সড়কপথে ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহের সময়ে এত বড় মাপের পাচার এর আগে কোনওদিন প্রকাশ্যে আসেনি। তাই অন্যান্য সামগ্রীর নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তা বাড়ছে ব্যবসায়ীদের।
এবিষয়ে গাজোল থানার ওসি হারাধন দে বলেন, গাজোলে ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে তেল সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম। কিছুটা তেল এখনও উদ্ধার হয়নি। আমরা এনিয়ে তদন্ত চালাচ্ছি। এবিষয়ে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের প্রাক্তন সম্পাদক তথা ব্যবসায়ী নেতা উজ্জ্বল সাহা বলেন , সড়কপথে ট্রান্সপোর্টের গাড়ির মাল উধাও নিয়ে একটি চক্র জেলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এটা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। চক্রের সঙ্গে কোনও বড় মাথা জড়িত এবং জাতীয় সড়ক ধরেই এধরনের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রাখা হয়েছে বলে প্রমাণ মিলছে। আমরা চাই পুলিস এ নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিক। না হলে মালদহে ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে পণ্য আনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সমস্যা হবে। জেলার দোকান ব্যবসায়ীরা বলেন, সড়কপথে এভাবে পণ্য সামগ্রী উধাও হয়ে গেলে বাইরে থেকে কোন গাড়ি জেলায় আসতে চাইবে না। এতে ব্যবসা মার খাবে।
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া টাউনশিপের বাসিন্দা বিনোদকুমার পান্ডের বিপুল পরিমাণে ভোজ্য তেল হাপিস হয়ে গিয়েছিল। পান্ডেবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে গাজোল থানার পুলিস ট্রান্সপোর্ট থেকে উধাও হয়ে যাওয়া ভোজ্য তেল পাচার চক্রের সন্ধান পেতে তদন্তে নামে। পুলিসি তৎপরতায় ভোজ্য তেল বাজেয়াপ্ত করা হলেও কিছু ভোজ্যতেল এখনও উদ্ধার করা যায়নি। অনুমান করা হচ্ছে ওই তেল অন্যান্য রাজ্যে পাচার হয়ে যেতে পারে। মাদক থেকে শুরু করে জাল নোট পাচারের রমরমা তো মালদহে রয়েছেই। এবার ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে পণ্য সামগ্রী পাঠানো হলেও তা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে তদন্তকারী অফিসারদের ভাবাচ্ছে ।