বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এই ঘটনায় মঞ্জুদেবী ছ’জনের নামে ইসলামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।এফআইআরে তিনি উল্লেখ করেছেন,আমার ছেলের স্মৃতিতে লাগানো ব্যানার সোমবার বিকালে অবৈধভাবে খুলে ফেলা হয়, এমনকী ছবিতে ওরা লাথি মারে।প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও কোদাল নিয়ে মারতে উদ্যত হয়েছিল।
দাড়িভিটের তৃণমূল নেতা তথা পণ্ডিতপোতা ২নং অঞ্চল সভাপতি সুবোধ মজুমদার বলেন, আমাদের দলের কর্মীরা কারও বাড়িতে ঢিল ছোঁড়েনি। মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষ সমস্ত কিছু ভালো করেই জানে। জমি আটকে টাকা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল। সেই কাজে সফল না হয়ে রাস্তা অবরোধ করেছিল। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, দাড়িভিটের শহিদ পরিবার এখনও বিচার পায়নি। রাত পর্যন্ত পথ অবরোধ চলছিল। আমাদের সঙ্গে নিহতদের পরিবারের ভালো সম্পর্ক আছে। তাই প্রশাসন আমাকে অনুরোধ করে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে বলতে। পরে আমার অনুরোধে পথ অবরোধ উঠে যায়। এরপরে তৃণমূলের কিছু লোকজন মদ্যপ অবস্থায় এসে শহিদ তাপস বর্মনের পরিবারকে লক্ষ্য করে গালিগলাজ, বন্ধ দোকানের সাটার ভাঙার চেষ্টা করে। সেসময় ভয়ে পরিবারের কেউ বাইরে বের হননি। বের হলে তাঁদের প্রাণ সংশয় হতে পারত। এনিয়ে দ্রুত পুলিসি পদক্ষেপ করা উচিত। ইসলামপুর থানার আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট হাইস্কুলে ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকারের মৃত্যু হয়। তাঁদের স্মৃতিতে সম্মান জানিয়ে বাজারের পাশে পিডব্লুডি দপ্তরের জমিতে ব্যানার লাগানো ছিল। গত সোমবার বিকালে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা ওই ব্যানার খুলে দেয় ও অসম্মান করে বলে অভিযোগ তুলে নিহতদের পরিবার ও বাসিন্দারা দাড়িভিট বাজারে ইসলামপুর-গোয়ালপোখর রাস্তা অবরোধ করে। রাত পর্যন্ত পুলিস সেখানে যায়নি। কয়েক ঘণ্টা অবরোধ চলায় যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রথমে রাস্তায় আড়াআড়ি ভাবে বাঁশ ফেলে অবরোধ চলছিল। সন্ধ্যার দিকে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও এই বিক্ষোভে শামিল হন। অভিযোগ, রাতের দিকে তৃণমূল কর্মীরা সংগঠিত হয়। অবরোধ ওঠার পর তাদের একাংশ বাজারে জমায়েত হয়। নিহতদের পরিবারেকে লক্ষ্য করে তারা গালিগালাজ করে ও তাপসদের দোকান লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়ে। সেসময় অন্য পক্ষ জবাব দিলে রাতে অনেক বড় গণ্ডগোল বাঁধতে পারত।
স্থানীয়রা বলেন, দাড়িভিট হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ছাত্র বিক্ষোভে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকারের মৃত্যু হয়। এরপর নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় বিজেপি। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তোলে বিজেপি। ইস্যুটিতে গোটা রাজ্যে শোরগোল পরে। তৃণমূল ব্যাকফুটে চলে যায়। এরপর ধীরে ধীরে সবকিছু শান্ত হয়ে এসেছিল। কিন্তু সোমবার থেকে ফের দাড়িভিট উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।