বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এই কাজে কোচবিহারই রাজ্যকে পথ দেখিয়েছে। কোচবিহারেই ধানে চারা তৈরির কারখানা প্রথম চালু হয়। পরে সরকারি প্রকল্প হিসাবে স্বীকৃতি পেয়ে রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও সরকারি উদ্যোগে এই কারখানা তৈরি হচ্ছে বলে জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলার ১২টি ব্লকে ১০টি ধানের চারা তৈরির কারখানা তৈরি করা হচ্ছে। একেকটি ইউনিট তৈরি করতে সরকারের পক্ষ থেকে ছয় লক্ষ আট হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এক লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে যে গোষ্ঠী এই কারখানা তৈরি করবে তাদের রাইস ট্রান্সপ্লান্টার্স মেশিন কিনতে হবে।
কোচবিহার জেলা কৃষি দপ্তরের আধিকারিক অরুণ বসু বলেন, ধানের চারা তৈরির কারখানা বানানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পদ্ধতিতে ধানের চারা তৈরি করে লাভবান হওয়া যাবে। ধানের উৎপাদনও বেশি হবে। গতানুগতিক চাষের থেকে বেরিয়ে এসে নতুন পদ্ধতি চাষ না করলে নতুন প্রজন্ম চাষের কাজে এগিয়ে আসবেন না। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের অধীনে এটা করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯৬ ফুট লম্বা, ২০ ফুট চওড়া ও ১২ ফুট উচ্চতার একটি কাঠামো তৈরি করে তার মধ্যে দুই ফুটের একেকটি ট্রেতে এই ধানের চারা উৎপাদন করা হবে। এককটি কাঠামোয় ১৪৪০টি ট্রে থাকবে। এক বিঘা জমিতে ধানের চারা লাগাতে লাগাতে এই রকম ২০টি ট্রের চারা গাছ লাগবে। সেই চারা গাছগুলি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার্স মেশিনের মাধ্যমে জমিতে লাগানো হবে। ওই সব ট্রেগুলিতে চারা তৈরি করতে বোরো ধানের ক্ষেত্রে ২০-২১ দিন ও আমন ধানের চারা তৈরি করতে ১৫-১৬ দিন সময় লাগবে। সমস্ত জায়গাতেই স্বনির্ভর দল ও ফামার্স ক্লাবগুলির মাধ্যমে এই ধানের চারা তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে।
সাধারণত প্রতি বিঘার ধানের চারা তৈরি করতে ১২০০ টাকা লাগে। এই পদ্ধতিতে চারা তৈরি করলে মাত্র ২৫০ টাকার মধ্যেই তা হয়ে যাবে। যে কৃষকরা এই চারা কিনবেন তারা এর থেকে অন্যান্য চারার তুলনায় অনেক বেশি পরিমান ফলন পাবেন বলেও কৃষি দপ্তরের দাবি। জেলার কোচবিহার-১, তুফানগঞ্জ-১ এবং ২, দিনহাটা-১, শীতলকুচি ও মেখলিগঞ্জ ব্লকে একটি করে এবং কোচবিহার-২ এবং মাথাভাঙা-২ ব্লকে দু’টি করে জায়গায় এই ধানের চারা তৈরির কারখানা করা হচ্ছে। আগামী দিনে এই ধানের চারা তৈরির উদ্যোগে আরও অনেকে এগিয়ে আসবেন ও তার থেকে ভালো ফলন হবে বলেই আশা করছে জেলা কৃষি দপ্তর।