গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ইসলামপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ প্রায় মাসখানেক আগে শহরের কংগ্রেস রোড ও এমজি রোডে টোটোর প্রবেশ নিষেধ করে দেয়। সেই নির্দেশিকা জানিয়ে দিয়ে ওই দুই এলাকায় বোর্ডও লাগিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ শুধু বোর্ড লাগিয়েই খালাস। নজরদারির কোনও উদ্যোগ তাদের ছিল না বলে অভিযোগ শহরবাসীর। তাই বোর্ড লাগানোর পরেও ওই দুই রাস্তায় টোটোর চলাচল ছিল। সম্প্রতি সেই বোর্ড দু’টিও উধাও হয়ে গিয়েছে। ফলে কোনও নিষেধাজ্ঞার আর বালাই নেই।
ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, বোর্ড উধাও হয়েছে এমন বিষয় জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। নজরদারি নেই, একথা ঠিক না। দু’টি বোর্ডের স্থানে সিভিক ভলান্টিয়ার থাকে, ট্রাফিক পুলিসও নজরদারি করে। রাস্তা দু’টিতে এখন টোটো প্রবেশ করছে না।
কংগ্রেস কাউন্সিলার মুজাফ্ফর হুসেন বলেন, পুরসভা কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিত ভাবে কাজ করে। টোটো নিয়ন্ত্রণে শুধু বোর্ড না দিয়ে নজরদারি টিম গঠন করা উচিত ছিল। পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানোও উচিত। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যানজট সমস্যার কথা জেনেও সদর্থক পদক্ষেপ করছে না।
সিপিএমের নেতা বিকাশ দাস বলেন, বাজার এলাকায় শুধু টোটো নয়, অন্যান্য যানবাহনও নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। যানজট সমস্যায় সকলেই নাজেহাল হচ্ছেন। এই বিষয়ে পুরসভা কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোনও উদ্যোগ নেয়নি। ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র দামোদর আগরওয়াল বলেন, শহরের বিভিন্ন অলিগুলি সহ বাজার এলাকায় অবাধে টোটো চলে। এগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। এমনিতেই বাজার এলাকায় বিভিন্ন কারণে যানজট লেগে থাকেই। তার ওপর প্রচুর সংখ্যক টোটো এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। প্রয়োজন হলে পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করা উচিত। এবিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনও উদ্যোগ তারা নেয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, শহরে এখন টোটোর সংখ্যা লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছে। সেই টোটোগুলির একাংশ শহরের বাইরে থেকে আসে। প্রশাসনের উদাসীনতার ফলে টোটো চলাচলের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। বাজার এলাকায় একমুখী রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তাগুলিতে যানবাহনের চাপে চলাফেরা করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে পথচারীদের পক্ষে। যানজটের অন্যতম কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত টোটো। সম্প্রতি পুরসভা কর্তৃপক্ষ দুইটি রাস্তায় টোটোর প্রবেশ নিয়ে নিষেধের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ দিয়ে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বাজারে ঢোকার কংগ্রেস রোডের মুখে ও চৌরঙ্গি মোড় এলাকায় জাতীয় সড়ক থেকে এমজি রোডের মুখে বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেও নজরদারি ছিল না বলেই টোটো চলাচল করত। তার উপর এখন আবার ওই স্থানে কোনও বোর্ডও আর নেই। এখন টোটো চলছে অবাধে। যানজটও হচ্ছে লাগামছাড়া।