গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
সূর্য সেন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নতুন কমিটির কোষাধ্যক্ষ গৌতম মজুমদার বলেন, মার্কেট কমপ্লেক্সে প্রধান এদিন অনৈতিকভাবে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে দেন। উনি মার্কেটের সামনে সভা করে আমাদের উদ্দেশ্য করে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ফলে আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।
নতুন কমিটির সদস্য সঞ্জীব সাহা বলেন, প্রধান বাইরের থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে আমাদের এদিন হুমকি দিয়েছেন। বহিরাগত লোক দিয়ে মারধরের চেষ্টা করেন। পুলিস চলে আসায় আমরা রক্ষা পেয়েছি। প্রধান আগের কমিটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে লক্ষাধিক টাকা নয়ছয় করেছেন। নিরাপত্তার দাবিতে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
মাটিগাড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের হরেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, অগণতান্ত্রিকভাবে ভোট ছাড়াই পুরনো কমিটির ভেঙে দিয়ে সূর্য সেন মার্কেটে নতুন কমিটি করা হয়েছে। আমি ওই মার্কেটের সদস্য নই। তাই এনিয়ে আমার কিছু বলা নেই। কিন্তু ১৪ জানুয়ারি মার্কেটের সামনে কিছু লোক মাইকিং করে বলেছে আমি না কি টাকা নয়ছয়ের সঙ্গে জড়িত আছি। মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। তাই তার প্রতিবাদ করে এদিন মার্কেটের সমানে সভা করি। একাংশ ব্যবসায়ী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। আমিও চাই মার্কেটে কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে তার তদন্ত হওয়া দরকার। মার্কেট বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেললে আমরা তা মানব না।
পুরনো কমিটি সম্পাদক খগেন দাস বলেন, আমি সমস্ত হিসেব বুঝিয়ে দিয়েছি। কোনও অনিয়ম নিয়ে তখন কেউ কিছু বলেনি। তাছাড়া কেউ কেউ মার্কেটের নির্দিষ্ট স্টলের বাইরে দোকান করে নিয়েছে। আমি এর বিরোধিতা করাতেই এখন আমার বিরুদ্ধে এমন বদনাম করা হচ্ছে।
মার্কেট কমপ্লেক্সের একতলায় মোট ৭০টি দোকান আছে। বর্তমানে ৬২ জন ব্যবসায়ীরা সেখানে দোকান করছেন। এদিনের কোন্দলের জেরে ৫৬টি দোকানের শাটার নামানো ছিল। শাকসব্জি, মাছ, মাংস থেকে শুরু করে মুদিখানা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সহ বিভিন্ন দোকান মার্কেট আছে। দোকানগুলি বন্ধ থাকায় এলাকার সাধারণ মানুষকে কেনাকাটা করতে মাটিগাড়া কিংবা শিবমন্দিরে যেতে হয়।