বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যার কনফারেন্স হলে দুপুর ৩টে থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে এই ম্যারাথন রিভিউ বৈঠক করেন মন্ত্রী। বৈঠকে জেলাশাসক সুরেন্দ্র নাথ মিনা, অতিরিক্ত জেলাশাসকরা, মহকুমা শাসক ও জেলার সমস্ত ব্লকের বিডিওরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পরে মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণবাবু বলেন, তফসিলি জাতি, উপজাতি ও ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে যেন কোনভাবেই হয়রানির সম্মুখীন না হয় তা দেখতে বলেছি আধিকারিকদের। আগে তফসিলি জাতি, উপজাতি ও ওবিসিদের শংসাপত্র পেতে ছ’মাস, এক বছর এমন কী দেড় বছরও সময় লাগত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার এই শংসাপত্র দেওয়ার জন্য সরকারি আধিকারিকদের চার সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দেখতে হবে জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ এই শংসাপত্র যেন সঠিক সময়ে পায়।
মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণবাবু বলেন, তফসিলি জাতি, উপজাতি ও ওবিসি’দের নতুন প্রজন্ম যারা আছে তাদের অনেকেরই বাপঠাকুর্দার এই শংসাপত্র নেই। সেক্ষেত্রে তাদের এই শংসাপত্র দেওয়ার জন্য নিয়মের সরলীকরণও করতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে সরকারি আধিকারিকদের এবার থেকে গ্রামে গিয়ে খাটিয়ায় বসে গ্রামের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
জেলার বন বস্তিবাসীদের পাট্টা পাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আলিপুরদুয়ার জেলায় ৭৫০টি ফরেস্ট পাট্টা তৈরি করা হয়েছে। খুব দ্রুত সেই পাট্টা বন বস্তিবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বুধবারের বৈঠকেই পাঁচ জন বন বস্তিবাসীর হাতে এই পাট্টা তুলে দেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলায় এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে এই পাট্টা বিতরণ হবে।
উত্তর দিানাজপুরের ইসলামপুর থেকে আলিপুরদুয়ারের অসম-বাংলা সীমান্তের কুমারগ্রাম পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ৩০২টি চা বাগান আছে। প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ চা বলয়ে বসবাস করেন। চা বাগানের বাসিন্দারাও দীর্ঘদিন ধরে জমির পাট্টার দাবি দাবি জানিয়ে আসছে। চা বাগানের বাসিন্দাদের জমির পাট্টা পাওয়ার বিষয়টি অবশ্য অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী পাশ কাটিয়ে যান। মন্ত্রী বলেন, ওটা অন্য দপ্তরের বিষয়। তারাই এবিষয়ে ভালো বলতে পারবে।