বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যানী পোদ্দার দাস বলেন, স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বরাদ্দ টাকা পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। স্কুলগুলি ওই টাকা পেয়ে কাজ কতটা করল তা পর্যায়ক্রমে দেখা হবে।
এই বছরের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে জেলায় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময়ে একাধিক প্রাথমিক স্কুল ভবনের টিনের চাল ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল। স্কুলবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরমধ্যে মেখলিগঞ্জ ব্লকের স্কুলগুলি সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে শতাধিক প্রাথমিক স্কুল ভবন ওই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলভবনের বিবরণ দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের মাধ্যমে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ আবেদন করে। রিপোর্ট পেয়ে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখে রাজ্যে পাঠায়। সেখান থেকেই অর্থ বরাদ্দ হয়ে এসেছে। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে রিপোর্ট জমা পড়ে তাতে ২২৫টি স্কুলভবন সংস্কার করার কথা বলা হয়। ক্ষতিপূরণ অনুযায়ী একলক্ষ টাকা থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। স্কুলভবন সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষিকারাও খুশি।
একইসঙ্গে জেলায় ৪৯৫টি প্রাথমিক স্কুলে নতুন ভবন তৈরি করা হবে। এরজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা। জানুয়ারি মাসে আগামী শিক্ষাবর্ষের শুরু হবে। তাই জোরকদমে এর কাজ চলছে। প্রসঙ্গত, জেলায় মোট ১৮৮৭টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে।