বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উল্লেখ্য ধূপগুড়ির ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এই বাজার বসায় সেখানে ফুটপাত বলেও কিছু নেই। ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গিয়েছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি পথচলতি মানুষজনদের প্রতিনিয়ত এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়রানি হতে হয়। এনিয়ে জেলাপরিষদ কী পদক্ষেপ করে সেদিকেই তাকিয়ে ধূপগুড়িবাসী। ধূপগুড়ি হাইস্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক গুণময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সামনে বাজার বসায় হইহট্টগোলে স্কুলের পরিবেশটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেখানকার নোংরা, আবর্জনা, সেই সঙ্গে অপরিচ্ছন্ন ড্রেন সব মিলিয়ে নারকীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে এখানে। ড্রেনগুলিতে যত্রতত্র শৌচকর্ম করে লোকজন যা দৃশ্যদূষণ ঘটায়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করে। এখান থেকে মুক্তির একটাই উপায় রয়েছে জেলা পরিষদকে দৃঢ় পদক্ষেপ করতে হবে। স্কুলের সামনে থেকে বাজার অন্যত্র সরাতে হবে। না হলে এথেকে পরিত্রাণ নেই। এই স্কুলে পাঠরত এক ছাত্রের মা পিঙ্কি সাহা বলেন, আমার ছেলে হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। ছেলেকে স্কুল থেকে নিতে এসে অনেক সময় গেটের সামনে দাঁড়াতে হয়। কিন্তু এই বাজার ও ড্রেনের যে অবস্থা তাতে এখানে দাঁড়ানো মুশকিল হয়ে পড়ে। স্কুলের সামনে বাজারের ফলে প্রতিনিয়ত যানজট হচ্ছে। বাজারের আবর্জনা, ড্রেনের নোংরা থেকে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। অভিভাবক হিসাবে প্রশাসনের কাছে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। বাজারের এক ব্যবসায়ী সন্তোষ দাস বলেন, আমরাও চাই এই বাজার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাক। আমরা এখানে ব্যবসা করার জন্য জেলা পরিষদকে খাজনা দিই। তারা কিছু করছে না কেন? এই রাস্তা দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যায়। তাদের সামনে শৌচকার্য করা খুবই দৃষ্টিকটূ। মানুষকে এটা বুঝতে হবে।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, স্কুলের সামনে যে বাজার রয়েছে এবং যে ড্রেন রয়েছে তা দ্রুত পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করা হবে। এবিষয়ে পুরসভার সঙ্গেও কথা বলব। তবে খোলা জায়গায় স্কুলের সামনে ড্রেনে শৌচকর্ম আটকাতে গেলে লোকজনের মানসিকতা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।