বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দিনহাটা মহকুমার তিনটি ব্লক দিনহাটা ১, ২ এবং সিতাইয়ের কয়েক লক্ষ মানুষ উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পেতে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের উপরই নির্ভরশীল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে রোগীদের জন্য ৩২৬টি বেড রয়েছে। এর অধিকাংশতেই সারা বছর রোগী ভর্তি থাকেন। প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার রোগী হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন। এই হাসপাতালে ৫৮ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে অর্ধেকেরও কম চিকিৎসক রয়েছেন। মাত্র ২৭ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে এই মহকুমা হাসপাতাল। গত বছর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের উদ্বোধন করা হলেও বর্তমানে সেখানে একজন চিকিৎসকও নেই। সেখানে পাঁচ জন চিকিৎসক থাকার কথা। হাসপাতালে ২২ জন ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার থাকার কথা। একজনও নেই। এখন সব পদ ফাঁকা। হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সাফাই কর্মীর সংখ্যাও খুব কম। ৫০ জন সাফাই কর্মীর জায়গায় মাত্র ১১ জন সাফাই কর্মী রয়েছে গোটা হাসপাতালে। ফলে হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। নার্সের সংখ্যাও অনেক কম এই দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। ১২৫ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছেন মাত্র ৮৫ জন নার্স।
এই অবস্থায় পরিষেবা নিয়ে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে। একইভাবে চাপ সামাল দিতে গিয়ে চিকিৎসক, নার্সরা হিমশিম খাচ্ছেন। দিনহাটার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে এত উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তুলে কী লাভ? হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকলে রোগীরা সুস্থ হবেন কীভাবে? দিনহাটা শহর সংলগ্ন এলাকা বড় নাচিনার বাসিন্দা জিয়ারুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের পরিষবা উন্নত না হওয়ায় দিনদিন শহরে নার্সিংহোম গজিয়ে উঠছে। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসার মান বাড়াতে সরকারের উচিত দ্রুত পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিয়োগ করা। তবে সাধারণ মানুষের উপকার হবে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, সাফাই কর্মীর অভাবের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকের পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগে কর্মী দেওয়ার বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পাশাপাশি স্বাস্থ্যভবনে জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের সুপার রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক কম আছেন। সাফাই কর্মী, গ্রুপ ডি কর্মীর সংখ্যাও কম। কিছু তো সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্য দপ্তরে চিকিৎসক ও কর্মী সংখ্যা কম থাকার বিষয়টি জানিয়েছি।
দিনহাটার বিধায়ক তথা দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি উদয়ন গুহ বলেন, এখন গোটা রাজ্যেই চিকিৎসকের সমস্যা আছে। জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ হওয়ায় সেখানে অনেক চিকিৎসক লাগছে। তবু আমরা চেষ্টা করছি স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে দিনহাটার হাসপাতালে চিকিৎসকের সমস্যা মেটাতে।