বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দুর্গাপুজোর আগেও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস রাস্তা নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল। পুজোর সময় চাপ সামলাতে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল বাইপাস। ফের তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, পথচারী থেকে শুরু করে অফিসযাত্রীরা—সকলেই বিরক্ত। অবিলম্বে সমস্যা সমাধানের দাবিতে ভুক্তভোগীরা সরব হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনকেও উদ্যোগী হতে হবে বলে তাঁদের দাবি। এদিকে বাইপাস রাস্তায় পিচের কাজ চলছে বলে সেই রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ ওই রাস্তা বন্ধ থাকবে বলে আধিকারিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
এব্যাপারে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মালদহ ডিভিশনের ম্যানেজার ওমনাথ বিহারী বলেন, দুর্গাপুজোর আগে বাইপাস রাস্তায় পিচের প্রথম আস্তরণ পড়ে। পুজোর মরশুমের ব্যস্ততাজনিত কারণে আমরা বাইপাস চালু করে দিই। এদিকে রাস্তার উপর পিচের দ্বিতীয় আস্তরণ দেওয়ার সময় পার হয়ে যাচ্ছিল। ফলে রাস্তার ক্ষতি এড়াতে তা দেওয়াটা জরুরী হয়ে পড়েছে। এদিন থেকে আমরা বাইপাস বন্ধ রেখেছি। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। ফলে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে বাইপাস ফের খুলে দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।
মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ খামখেয়ালি আচরণ করছে। বারবার তারা বাইপাস বন্ধ রেখে মানুষকে হয়রান করছে। এবার এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করে বাইপাস চালু করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি মতো বাইপাস চালু না হলে আমরা লাগাতার আন্দোলনে নামব।
উলেখ্য, ইংলিশবাজারে জাতীয় সড়কের বাইপাস নিয়ে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। প্রথম থেকেই ওই প্রকল্প নিয়ে সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। টাকা বরাদ্দ নিয়েও টালবাহানা করা হয় বলে অভিযোগ। ফলে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে অনেক বিলম্ব হয়। চলতি বছরে দফায় দফায় বাইপাস বন্ধ থাকে। বাইপাস চালুর দাবিতে ব্যাবসায়ী সংগঠনগুলি আন্দোলনে নামে। গাজোলে টোল প্লাজা থেকে ট্যাক্স প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হয়। মালদহ জেলা প্রশাসন ও পুলিসের তরফেও চাপ বাড়ানো হয়। চাপে পড়ে সড়ক কর্তৃপক্ষ পুজোর মুখে বাইপাস চালু করে। যদিও ওই সময়কালের মধ্যে রাস্তা নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। এখন আবার কাজ শুরু হয়েছে।