একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
জেলার পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, বিস্তারিত খোঁজ না নিয়ে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তাঁদের গ্রেপ্তার করার জন্য নিশ্চয় কোনও কারণ আছে। তবে ঠিক কী কারণে আলিপুরদুয়ার থানায় ওই তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখছি।
ধৃত ওই তিন জনই শহরের পরিচিত ব্যক্তি। তিন জনের মধ্যে ৭২ বছর বয়সী এক প্রবীণও রয়েছেন। শহরে তাঁর মাইকের দোকান আছে। তাঁর বাড়ি শহর লাগোয়া দক্ষিণ জিৎপুরের বাদলনগরে। আর একজন ৬২ বছরের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। তাঁর বাড়ি আলিপুরদুয়ার জংশনে। তিনি একটি স্কুলের পিওন পদের কর্মী ছিলেন। তৃতীয় ব্যক্তির বয়স ৪৫ বছর। তাঁর বাড়ি প্যারেড গ্রাউন্ড ময়দানের পাশে রবীন্দ্রনগরে। তিনিও ব্যবসায়ী। এভাবে পেঁপে চুরির মতো ‘অপরাধে’ ও কোনরকম অভিযোগ ছাড়াই পুলিস তাঁদের গ্রেপ্তার করায় তিনজনই মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন।
লঘু অপরাধে রবিবার সকালে তিন জনের গ্রেপ্তারের খবর শুনেই থানায় যান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক সভাপতি মনোজ নন্দী। মনোজবাবুই উদ্যোগী হয়ে ধৃত তিনজনকে রবিবার দুপুরে ব্যক্তিগত বন্ডে ছাড়িয়ে আনার ব্যাবস্থা করেন। তিনজনই পরে ছাড়া পান।
মনোজবাবু বলেন, ধৃতদের কাছ থেকে ফোনে ঘটনার কথা শুনেই ছুটে যাই। তারপর আমিই উদ্যোগী হয়ে তিনজনকে আদালত থেকে ছাড়ানোর ব্যাবস্থা করি। পেপে পাড়ার জন্য পুলিসের এই কাজ কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
ধৃতদের আইনজীবী দেবব্রত অধিকারী বলেন, তাঁর মক্কেলরা পেঁপে চুরি করেননি। অথচ সামান্য এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ ছাড়াই পুলিস অতি সক্রিয় হয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও ওই গ্রেপ্তারের জন্য পুলিসের কোনও কাগজপত্র বা রেকর্ড সোমবার আদালতে জমা পড়েনি। ফলে পুলিসের কাগজ না দেখে বলা যাবে না ঠিক কী কারণে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্যারেড গ্রাউন্ড ময়দানের পাশে প্রবীনদের প্রাতঃভ্রমণের পর বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ও বিকালের আড্ডার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে ‘দিনান্তে পথপ্রান্তে মিলনমেলা’ নামে একটি বিশ্রমাগার তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তার পাশেই অন্যান্য গাছের সঙ্গে আছে একটি পেঁপে গাছও।
৭২ বছরের ওই মাইক ব্যবসায়ী বলেন, পেঁপে গাছটি আমরাই লাগিয়েছিলাম। অথচ সেই গাছের ফল ছিঁড়তে গিয়ে গ্রেপ্তার হতে হল। জীবনে কোনওদিন থানায় বা পুলিসের সামনে দাঁড়াতে হয়নি। থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিস পেঁপে পাড়ার জন্য গালিগালাজ করেছে। শেষ বয়সে এসে এভাবে পুলিসি হেনস্থার মুখে পড়তে হবে, ভাবতে পারিনি।