বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রায়গঞ্জ শহরের একাধিক জায়গায় বেআইনি মদের ঠেক গজিয়ে উঠেছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল। দুর্গাপুজোর সময়ে পুলিসের বিশেষ দল রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর চোরাই মদ এবং জুয়ার ঠেক নষ্ট করেছিল। সেই সাফল্যকে ধরে রাখতেই দীপাবলির আগে ফের বিশেষ দল অভিযান চালাবে রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায়। শুধুমাত্র রায়গঞ্জ শহরে নয়, রায়গঞ্জ জেলার অন্তর্গত সমস্ত থানা এলাকাতেই মদ ও জুয়ার ঠেকের বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে পুলিস। পাশাপাশি দীপাবলি এবং কালীপুজোর দিন কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া পুলিসি নজরদারি থাকবে এলাকায়। সব মিলিয়ে পুজোর সময় মানুষের আনন্দে যেন কোনওভাবেই কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সেদিকে নজর রাখবে রায়গঞ্জ জেলা পুলিস।
শুধুমাত্র মদ ও জুয়ার ঠেক নয়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় যে কোনওরকমের সন্দেহজনক গতিবিধি উপর বিশেষ নজরদারি চালাবেন ওই বিশেষ দলের সদস্যরা। দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোর দিনগুলিতেও কোনওরকম অশান্তি এড়াতে জেলা পুলিসের বিশেষ দল সর্বত্র নজর রাখছে। যেহেতু কালীপুজো ও দীপাবলির রাতে বিভিন্ন এলাকায় জুয়ার ঠেক বসে, তাই জুয়ার আড্ডা ভাঙার দিকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। দুর্গাপুজোর আগে ও পুজোর দিনগুলিতে একইভাবে অভিযান চালিয়ে রায়গঞ্জ শহর ও জেলার প্রায় প্রতিটি থানা এলাকা থেকেই বেআইনি মদ বিক্রি এবং জুয়ার আসর রুখে দিয়েছে রায়গঞ্জ জেলা পুলিস।
রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, আমরা পুজোর আগে থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ মদের ঠেক ভাঙতে তৎপর হয়েছি। আমাদের একটি বিশেষ দল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে অবৈধভাবে মজুত করা মদ উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি অবৈধ মদ বিক্রেতাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। জুয়ার ঠেক ভাঙতেও আমরা তৎপর ছিলাম। অনেকগুলি ঠেক আমরা ভেঙে দিই। আমাদের এই অভিযান লাগাতার চলছে। কালীপুজোর সময়ও একইভাবে আমরা অভিযান চালাব। যেকোনও ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ রোখার লক্ষ্যে আমরা তৎপর রয়েছি।
চলতি বছরের ৩০ আগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর শুধুমাত্র রায়গঞ্জ থানা এলাকায় অবৈধ মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৪৫৯০ লিটার মদ বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। সেই অভিযানে নয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা চালাচ্ছে পুলিস। রায়গঞ্জ ছাড়া অন্যান্য থানা এলাকাতেও একইভাবে অভিযান চালায় পুলিসের বিশেষ দল। আবগারি দপ্তরের সাহায্য নিয়ে এইসব অভিযান চালানো হয়েছিল। রায়গঞ্জ জেলা পুলিসের অন্তর্গত পাঁচটি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিসের বিশেষ দল একাধিক জুয়ার ঠেকও ভেঙে দেয়। এবারে কালীপুজোর আগে একইভাবে বিশেষ দল তৈরি করে অভিযানে নামবে রায়গঞ্জ জেলা পুলিস। শুধুমাত্র জুয়ার ঠেক বা মদ নয়, এলাকায় যেকোনওরকম সন্দেহজনক গতিবিধির ওপর নজর রাখছে তারা। কোনওভাবে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করা বা চোরাচালান হচ্ছে কিনা, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। দীপাবলি, কালীপুজো ও ছট পুজোর মরশুমে কোনওভাবেই যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেটাই নিশ্চিত করা মূল লক্ষ্য পুলিসের।