একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরের টিআইসি প্রসূনসুন্দর তরফদার বলেন, আমরা এবং শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির জুনিয়ার বেসিক স্কুল যৌথভাবে পাড়ার ক্লাবকে পুজো করার জন্য এবারও অনুমতি দিয়েছি। মৌখিকভাবে ওরা জানিয়েছে যে, স্কুল খোলার আগেই মাঠ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেবে। বিগত বছরেও তারা তা করার চেষ্টা করেছিল। তবুও কিছু জায়গা আমাদের মেরামত করে নিতে হয়েছিল। শীতে ওই মাঠেই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়। তাই আমরা আমাদের প্রয়োজনেই মাঠ কিছুটা সংস্কার করে নিই। আমরা আশাবাদী, ছুটি শেষের আগেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ মাঠ আগের অবস্থায় এনে দেবে।
চম্পাসারির জাতীয় শক্তি সংঘ ও পাঠাগার শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরের মাঠে পুজো করেছে। ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রনি ঘোষ বলেন, আমরা বাঁশের কাঠামো খুলছি। আগেই আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যে স্কুল খোলার আগে মাঠ পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেব। ২৫ অক্টোবরের মধ্যে আশা করছি সেই কাজ হয়ে যাবে।
দেশবন্ধুপাড়ার তরাই তারাপদ আদর্শ বিদ্যালয়ের টিআইসি গোপাল দত্ত বলেন, ক্লাব কর্তৃপক্ষ মাঠ ব্যবহারের ব্যাপারে আমাদের চিঠি দিয়েছিল। আমরা সেটা শিক্ষাদপ্তরে পাঠাই। সেখান থেকেই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি ক্লাবকে দেয়। ওরা বলেছে, স্কুল খোলার আগে মাঠকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেবে। আমরা আশাবাদী সেটা ক্লাব কর্তৃপক্ষ করে দেবে।
তরাই স্কুলের মাঠে সুব্রত সংঘের পুজো হয়েছিল। ক্লাবের সভাপতি ভাস্কর বিশ্বাস বলেন, আমরা মণ্ডপের কাঠামো প্রায় সবটাই সরিয়ে দিয়েছি। বৃহস্পতিবার থেকে গর্ত ভরাট করা হবে। চলতি সপ্তাহেই মাঠ আগের অবস্থায় এনে দেব। যদিও প্রাতঃভ্রমণকারীরা বলছেন, যা অবস্থা তাতে গর্ত ভরাট করে মাঠ আগের অবস্থায় আনার কাজ একমাসেও সম্ভব নয়।
শিলিগুড়ি শহরের কয়েকটি বিগবাজেটের দুর্গাপুজো কমিটি পাড়ার স্কুলের মাঠে পুজো করে। এই তালিকায় উত্তর থেকে দক্ষিণ কিংবা পূর্ব থেকে পশ্চিম সব এলাকার ক্লাবই রয়েছে। কোনও কোনও ক্লাব আবার তাদের খেলার মাঠেও পুজো করে। যেসব ক্লাব তাদের খেলার মাঠে মণ্ডপ বানিয়েছিল তারা প্রতিমা নিরঞ্জনের দু’দিনের মধ্যেই মাঠ পরিষ্কার করে নিয়েছে। এই তালিকায় দেশবন্ধুপাড়ার দাদাভাই স্পোর্টিং ক্লাব, বাবুপাড়ার ওয়াইএমএ সহ আরও কয়েকটি ক্লাব রয়েছে। কিন্তু যেসব ক্লাব স্কুলের মাঠে পুজো করেছিল তারা এখনও মাঠ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে তো দেয়ইনি, সেইসঙ্গে মাঠ থেকে বাঁশ ও কাঠের কাঠামোই পুরোপুরি সরাতে পারেনি। দেশবন্ধুপাড়ারই সুব্রত সংঘ, চম্পাসারির জাতীয় শক্তি সংঘ ও পাঠাগার সহ বেশকিছু ক্লাব এই তালিকায় আছে। এমন অবস্থায় সেসব ক্লাবের একাংশের কর্মকর্তারা কালীপুজো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ৩০ অক্টোবর স্কুলগুলির পুজোর ছুটি শেষ হচ্ছে। ৩১ তারিখ থেকে পূর্বের মতো নিয়মিত ক্লাস চালু হবে। ছাত্রছাত্রীরা মাঠে সেসময়ে খেলতে গেলে দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারে, এমনই আশঙ্কা অভিভাবকদের। যদিও ক্লাবগুলির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুজোর বাজেটে মাঠ পরিষ্কার, সংস্কার করে দেওয়ার খরচও ধরে রাখা হয়েছে। মাঠ থেকে পুজো ও মেলার অস্থায়ী কাঠামো সরানো হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই মাটি ফেলে মাঠের গর্তগুলি বুজিয়ে দেওয়া হবে।