বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জেলার পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, আমার এলাকায় কোনও ঘটনা ঘটলে তা তদন্তের দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমার। সেখানে কারা আমার বিরোধিতা করল সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। এতদিন পর্যন্ত আমার দায়িত্বকালে যেসব সকল ঘটনা ঘটেছে তার সমস্ত তদন্ত আমি সম্পন্ন করেছি। এবারও করব। ইতিমধ্যেই আমাদের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং করণদিঘি থানার পুলিস এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে। বেশকিছু তথ্য প্রমাণ আমরা পেয়েছি। দ্রুত আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।
চেম্বার অব কমার্সের তরফে শঙ্কর কুণ্ডু বলেন, ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তরা অধরা থাকায় পুলিসের নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এর আগেও গোয়ালপোখর থানা এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই হয়েছিল। পুলিস সেই দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। দ্রুত ঘটনার কিনারা না হলে আমরা জেলাজুড়ে ব্যবসা বন্ধের ডাক দেব।
নবমীর দিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টা নাগাদ করণদিঘি থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকা পোল্ট্রি ফার্ম ও পশু খাদ্য ব্যবসায়ী সুবেশ দাসের অফিসে ঢুকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে তাঁকে খুন করে। ঘটনার পর থেকেই রায়গঞ্জ জেলা পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং করণদিঘি থানা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারের কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ আছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন সুবেশবাবুর কয়েক কোটি টাকা বাজারে পাওনা রয়েছে। সেই টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে কিনা সেদিকেও নজর রাখছে পুলিস। ঘটনার দিন ওই এলাকা নির্জন থাকায় এখনও পর্যন্ত কোনও প্রত্যক্ষদর্শীকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিস। তাঁর নিকটাত্মীয়দেরও পুলিস দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পোল্ট্রি ফার্মের সঙ্গে যুক্ত কর্মী এবং অন্যান্য ছোট ব্যবসায়ীদেরও বারবার থানায় এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ব্রাঞ্চে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।