বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উল্লেখ্য, ভূতনির হীরানন্দপুর এলাকার কেশরপুরে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলছে কয়েক মাস ধরে। সেখানেই ১ জুন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেচ দপ্তরের কর্মী চিরঞ্জীব মিশ্রর সঙ্গে যাচ্ছিলেন আলম শেখ। কেশরপুর থেকে মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ মিটার দূরে তাঁদের গাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম হন সেচ দপ্তরের দুই কর্মীই। গাড়ির চালকেরও কিছুটা আঘাত লাগে। ইতিমধ্যেই চিকিৎসার জন্য চিরঞ্জীববাবুকে পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছে।
অন্যদিকে আলম সাহেব মালদহের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১০ জুন তাঁকে নার্সিংহোম থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বুধবার সকালে অবস্থার চরম অবনতি হলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির কাছে বাঙ্গিটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যুতে মুহ্যমান গোটা বাঙ্গিটোলা এলাকা। মৃত ওই সেচ কর্মীর ভ্রাতুষ্পুত্র সফিকুল শেখ বলেন, নির্বিবাদী মানুষ ছিলেন। তাঁর এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে সেচ দপ্তরের কর্মী হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং দুই নাবালক পুত্র ও কন্যা। মৃত ওই সেচ কর্মীর ছেলে আমান সাহিল প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। কন্যা আলিশা পারভিনের বয়স মাত্র চার বছর।এদিন মৃতদেহ গ্রামে ফিরতেই ভেঙ্গে পড়ে গোটা এলাকা।
পরিবারের সদস্যদের ক্ষোভ নার্সিংহোম থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও আলম সাহেবের সেখানেই আরও কিছুদিন চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। পরিস্থিতি খারাপ থাকলে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিতে পারতেন চিকিৎসকরা। তবে আলম সাহেবের চিকিৎসা করা এক ডাক্তার বলেন, সব রকম চেষ্টাই করা হয়েছিল।
এদিকে এই সেচ কর্মীর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া সেচ দপ্তরেও। মালদহ সেচ দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার প্রণব কুমার সামন্ত বলেন, আমরা শোকস্তব্ধ। কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই। তিনি অত্যন্ত শান্ত ও ভদ্র ছিলেন। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পুলিস ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। প্রতিকারের আশ্বাসও মিলেছে। মৃত ওই কর্মীর পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি।
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, বোমা নিয়ে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাত আট মাস আগে কাজ শুরুর সময় থেকেই গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা চলছিল। সব তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। ঝাড়খণ্ড পুলিসও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মূল পাণ্ডাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। বাকি অপরাধীরাও দ্রুত ধরা পড়বে।