সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
নয়া সংঘাতের শুরু পাক সংবাদপত্রে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অর্থমন্ত্রী সওকত তারিনের একটি সাক্ষাত্কার প্রকাশের পর থেকে। সেখানে তারিন জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানে ডলারের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। তাই বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সেখানে পাকিস্তানি মুদ্রা ব্যবহার করা যাবে। সেনেটের ইকোনমিক কমিটিকেও একথা জানিয়েছেন তিনি। তারিনের আরও বক্তব্য, অতীতে পাক সীমান্ত লাগোয়া একাধিক আফগান প্রদেশেও বাণিজ্যিক লেনদেনে পাক মুদ্রা ব্যবহার হতো। আফগান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তারিনের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই ফুঁসে ওঠে নয়া তদারকি তালিব সরকারের আধিকারিকরা। দেশীয় মুদ্রা ব্যবহারের উপর বিশেষ জোর দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে পাক মুদ্রা ব্যবহার করলে শাস্তির নিদানও জারি হয়েছে। শুধু সরকারি মহলেই নয়, সাধারণ আফগানরাও পাক মুদ্রা বর্জন নিয়ে সরব হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আব্দুল করিম নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, আমি আমার দেশের মুদ্রাই ব্যবহার করব। প্রতিটি লেনদেনে আফগানিস্তানের নাগরিকদের আফগান মুদ্রাই ব্যবহার করা উচিত। এই ইস্যুতে সাধারণ আফগান ও তালিবানপন্থীদের বিভেদ ঘুঁচে গিয়েছে। সকলেই একযোগে পাক মুদ্রা ব্যবহার বন্ধ নিয়ে জোর সওয়াল করছেন।
তথ্যভিজ্ঞ মহলের মতে, আফগানিস্তানে সরকার গঠন থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত ব্যাপারে খবরদারি করতে চাইছে পাকিস্তান। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিষয়টিকে কেউই ভালো চোখে দেখছে না। ‘বন্ধু’ পাকিস্তানের এই বাড়াবাড়িতে রাশ টানতে তত্পর আফগানিস্তানের নয়া সরকার। তারা ভালোমতোই জানেন, রাতারাতি তালিবান সরকারকে মান্যতা দেবে না আন্তর্জাতিক মহল। ফলে বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন থেকে যে আর্থিক সাহায্য আসত, তাও এখন মিলবে না। এই অবস্থায় দেশে পাকিস্তানি মুদ্রায় লেনদেন চালু হলে, যতটুকু অর্থনীতি বেঁচে আছে তাও ভেঙে পড়বে। তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই দেশীয় মুদ্রা ব্যবহারে জোর দিয়েছে তারা। অন্যদিকে, চীন, রাশিয়া, ইরান সহ একাধিক দেশের সঙ্গে বৈঠক করেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।