সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
আরামবাগের এসডিও হাসিন জাহেরা রিজভি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে কন্ট্রোল রুম। খানাকুল-১ ও ২ ব্লকের বাঁধগুলির সংস্কার কাজ চলছে। যদি নদীতে জল বাড়ে এই এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ ব্লক আধিকারিকদের দেওয়া হয়েছে। গ্ৰামবাসীদের সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে নদীর জলস্তর বাড়ছে কি না তাও দেখা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য পুলিস প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিম্নচাপের বৃষ্টিতে রূপনারায়ণ নদের জল বাড়লে একাধিক জায়গায় বাঁধ ভেঙে যায়। ভাঙা বাঁধ দিয়ে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করে। তার জেরে খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এখনও বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন রয়েছে। তার মধ্যেই গুলাব চোখ রাঙানোয় খানাকুলবাসীর আতঙ্কে ঘুম উবে গিয়েছে। ফের ভাঙা বাঁধ দিয়ে জল ঢোকার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
খানাকুল-২ বিডিও শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ধান্যঘোরীর বন্দর, জেলেপাড়া মাইতিপাড়ার বাসিন্দাদের আমরা ইতিমধ্যেই ধান্যঘোরী হাইস্কুলের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে এসেছি। কারণ, নদীতে জল বাড়লে এই এলাকাগুলি আবার ডুবে যেতে পারে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। আমরা স্থানীয় থানা ও গ্ৰাম পঞ্চায়েতগুলিকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য, জল বাড়লে এই এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। যাতে কোনও প্রাণহানি না হয়। গত শনিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এই এলাকাগুলি পরিদর্শন করে যান। বন্যা নিয়ন্ত্রণে সতর্কতামূলক যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তারজন্য তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। আগামী চার-পাঁচ দিনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ধান্যঘোরীর সামন্ত পাড়ার বাসিন্দা অনুপ সামন্ত বলেন, গত বৃহস্পতিবার প্রশাসন আমাদের এই ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসে। ওইদিন থেকে স্ত্রী, দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে এখানে আছি। এদিন প্রশাসনের লোকজন এসে জানান, আমাদের আরও চারপাঁচ দিন থাকতে হবে। বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তার জেরে নদীর জল বাড়লে ভাঙা বাঁধ দিয়ে আবারও বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে যাবে। বছর বাহান্নর ফুল্লরা সামন্ত বলেন, এদিন প্রশাসনের লোকজন সকালে এসে জানায়, আমরা যেন ত্রাণ শিবির থেকে না বের হয়। জানি না আর কতদিন এখানে থাকতে হবে। ধান্যঘোরী গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান বীণাপাণি ভৌমিক বলেন, বাসিন্দাদের আমরা মাইকিং করে সতর্ক করছি। ২৪ ঘণ্টা আমরা প্রস্তুত আছি। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত আছে।