Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভবানীপুর থেকেই শুরু হোক নয়া ইতিহাস
হিমাংশু সিংহ

২ মে থেকে ৩ অক্টোবর, এই পাঁচ মাস বাংলার রাজনীতির যুগসন্ধিক্ষণ বললে অত্যুক্তি হবে না। বাংলা উত্তরপ্রদেশ নয়, প্রমাণ হয়ে গিয়েছে গত ২ মে। বিধানসভা ভোটের চমকে দেওয়া ফলাফলে। পশ্চিমবঙ্গ দখলের খেলায় নরেন্দ্র মোদির পরাজয়ে। বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতিতে বিভাজনের আগ্রাসন যে কোনওভাবেই বরদাস্ত নয়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন রাজ্যবাসী। বিশেষত বাংলার নির্ভীক মহিলারা। বিভেদ নয়, সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি নয়, রাজ্যের মানুষ শান্তি চায়। আর সেই নিরাপদ আশ্রয়টা এ রাজ্যে দিতে পারেন একমাত্র কালীঘাটের মাথা উঁচু করা জননেত্রী, এই কথাটাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে পাহাড় থেকে সাগর সর্বত্র। সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সাফল্য, যা প্রতিটি মা বোনের অহঙ্কার। মেদিনীপুরের মতো কোনও একটি জেলার সীমিত ক্ষমতার ক্ষুদ্র পরিসরের নেতাকে দিয়ে মমতার দলকে যে ভাঙা যায় না, তাঁর ভাবমূর্তিতে দাগ দেওয়া যায় না, তার অকাট্য প্রমাণ পেয়ে গিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব, বাইরে থেকে উড়ে আসা রাজনীতির ওস্তাদ কারবারিরা। উল্টে কাঁথির ব্যর্থ যুবরাজ যেভাবে দলে সমান্তরাল পাওয়ার সেন্টার গড়ে তুলছেন, তাতে দলটাই আগামী দিনে খণ্ড খণ্ড হয়ে ভেঙে যেতে চলেছে। সভাপতি বড় না বিরোধী দলনেতা, এর মীমাংসা করতে করতেই কেটে যাবে পরের নির্বাচন। এমন ভঙ্গুর পরজীবী সংগঠনের এটাই নিশ্চিত ভবিতব্য। আগামী ৩ অক্টোবর ভবানীপুরের ফল থেকেই প্রমাণ হবে বাংলার মাটি অজেয়। যেমন স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করা হয়েছিল, তেমনি দেশজুড়ে আরএসএসের জয়রথ রুখে দেওয়ার নির্ণায়ক লড়াইও শুরু হবে এই বাংলার মাটি থেকেই। আসন্ন উপনির্বাচনের ফলই দেশকে, তামাম বিরোধী শিবিরকে আলোর পথ দেখাবে। চব্বিশের নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী যুদ্ধের সূচনা হবে বৃহত্তর ভারতের প্রতীক ভবানীপুরের মাটি থেকেই। এখানে কে নেই? পাঞ্জাবি, গুজরাতি, মারাঠি সবাই নির্ভয়ে থাকেন ভবানীপুরে। এই বাংলার নিরাপদ আশ্রয়ে। তাই একটা উপনির্বাচনের তাৎপর্য অনেক। প্রতিটি ভোটের মূল্যও বিরাট।
দীপাবলির এখনও দেড় মাস বাকি। মহালয়া মাত্র দেড় সপ্তাহ দূরে। দেবীপক্ষ শুরুর আগেই ভবানীপুরের গুরুত্বপূর্ণ ভোট। গত অক্টোবর-নভেম্বরের কথা একবার ভাবুন। পুজো যেতে না যেতেই করোনা বিধি উপেক্ষা করে তৃণমূল ভাঙার ব্লুপ্রিন্ট নিয়ে রে রে করে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষরা। না ভুল হল, উনি তো চিরদিনই বলির পাঁঠা। ব্রাত্য দিলীপবাবুকে সামনে রেখে কিছু লোভী দলবদলু নেতা সেদিন ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বাংলা দখলের আড়ালে আখের গোছাতে। দল আড়াআড়ি ভেঙে গিয়েছিল আদি আর নব্য দুই ভাগে। তেলে জলে কখনও মেশে না, এই আপ্তবাক্যকে সত্য প্রমাণ করে সংগঠনও শক্তিশালী হয়নি। ওই যে বললাম, সব জেনেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোভে সুরে সুর মিলিয়েছিলেন তৃণমূল আমলে মেদিনীপুরের সবচেয়ে লাভবান পরিবারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছেলেটা। আর এই লাভ ঘরে তোলাটা একদিন দু’দিন নয়, চলেছে গোটা কয়েক দশকজুড়ে। তাঁর আশ্বাসে ভুল পদক্ষেপ করে আরও অনেকে ডুবেছেন। ডোমজুড় থেকে কোন্নগর, তাই হাহাকার সর্বত্র। যাঁকে ঘিরে সবার উত্থান, খাওয়া পড়া, সামাজিক প্রতিষ্ঠা তাঁকে এভাবেই বুঝি ভোটের আগে পিছন থেকে ছুরি মেরে প্রতিদান চোকাতে হয়! এই বিশ্বাসঘাতকতা নিশ্চয়ই অধিকারের মধ্যেই পড়ে এই বিশেষ শ্রেণির লোকেদের! ভাবটা তখন এমন যেন বঙ্গ বিজয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। দেদার টাকা আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের ধারাবাহিক প্রদর্শনী ভোট পর্যন্ত বড় কম দেখা যায়নি। জেলায় জেলায় রোজ চলত যোগদান মেলা। বইমেলা নেই, শিল্প মেলা নেই, কোভিডে সব হারিয়ে রইল শুধু ধান্দাবাজদের যোগদান মেলা। কত টাকা উড়েছে হিসেব নেই! সৌজন্যে মোদি-অমিত শাহের নোংরা কপট রাজনীতি। কে কবে যোগ দেবে তা নিয়ে কত জল্পনা। এই আজ মেদিনীপুর ভাঙছে, তো কাল বর্ধমান। শিলিগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার তো আছেই। দশ বছর তৃণমূলের খেয়ে পড়ে বিজেপিতে গিয়ে এক-একজন হাঁকছিল ভোটের আগেই নাকি দলটা উঠে যাবে! কত জল্পনা। অমিত শাহ নাকি কানে কানে বলে দিয়েছেন, জিতলে তুমিই মুখ্যমন্ত্রী, আর পায় কে। অথচ ফল বেরতে দেখা গেল মিথ্যে দিয়ে সাজানো গড় মেদিনীপুরেই ঘটি ডোবে না! বঙ্গ বিজয় তো দূর অস্ত।
কার দর কত, তার উপর ঠিক হতো উনি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে যোগ দেবেন, না অমিত শাহের মঞ্চ থেকে পতাকা হাতে নিয়ে গেরুয়া হবেন। এমনও হয়েছে একই দিনে একবার দিলীপবাবু হেস্টিংস অফিসে যোগদান করাচ্ছেন, আবার তার আধ ঘণ্টার মধ্যে শহরের কোনও হোটেলে ভিন রাজ্য থেকে আসা মাতব্বর গোছের ‘মগ’ নেতা পাল্টা যোগদান করাচ্ছেন। রাজ্য সভাপতির কী অপমান! সবই হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনে। কেউ আবার প্রকাশ্যে এমনও বলেছেন, না দিলীপবাবুর হাত ধরে যোগদান সম্ভব নয়। ওতে জাত যাবে, পেটও ভরবে না। এমন অভিমান আর আব্দার জুড়েই কেউ আবার চার্টার্ড প্লেনে চেপে দিল্লি ছুটছেন অমিত শাহের বাড়িতে মহার্ঘ প্রসাদ পাওয়ার জন্য। বলি ওই চকচকে বিমানে চেপে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে যাঁরা দিল্লি গিয়েছিলেন, তাঁরা ক’জন এখন বছর ঘোরার আগে গেরুয়া মন নিয়ে বসে আছেন। আর একবার দিল্লি যাবেন নাকি হাওয়াই জাহাজে চেপে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে কথা! একটা চলতি কথা আছে, যদি তুমি কোনও ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো, জোর করে জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করো, তার ফল দীর্ঘমেয়াদে ভালো হতে পারে না। একদিন না একদিন তা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে।  বঙ্গ বিজেপি আজ সেই  রিটার্ন সিনড্রোমেই কাত। আর তার অভিঘাতেই হতাশ দলবদলুরা বছর ঘোরার আগেই কর্পূরের মতো হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছেন অন্য ফুলে। এমনও অনেকে বলছেন, কোনওদিন ওই নিষিদ্ধ গেরুয়া পাড়ায় যাইনি তো! তাঁদের একজন তো গত ২ মে’র পরদিন থেকে হেন তৃণমূল নেতা নেই যাঁর দরজায় গিয়ে ফিরতে চেয়ে কাকুতিমিনতি করেননি। এখন রোজ শুধু মোবাইলটা নিয়ে বসে ভাবেন কখন ডাক আসবে ক্যামাক স্ট্রিট থেকে। ডাক আর আসে না। আর একজন বলছেন, সামনে মেথরদের ভোটটা মিটলেই (পুরসভার ভোট) যোগদানের চিঠি পাব! ছোট বড় জেলা গ্রাম ব্লক স্তর সর্বত্র উলটপুরাণের পালা। স্রোতের মতো ছোট বড় নেতারা এ ফুল থেকে অন্য ফুলে, এ ডাল থেকে অন্য ডালে। পরজীবী বাংলা বিজেপি তাই অনিবার্যভাবেই ভাঙছে। এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। ঠিক যেমন করে লোভ দেখিয়ে, এজেন্সি দিয়ে ভয় পাইয়ে তৃণমূল ভাঙা হয়েছিল এখন তার বিষময় পরিণাম বুঝতে পারছেন দিল্লির গেরুয়া নেতারা। সপুত্র দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও এক পুরনো এমপির তৃণমূলে যোগদানে বাস্তবিকই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আরও এমপি, বিধায়করা পা বাড়িয়ে রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত কতজন এমপি আর বিধায়ক টিকে থাকবেন কে জানে! একবার সিগন্যাল পেলেই দে ছুট। আসলে ভয় যেমন ভয়ঙ্কর, তেমনি সেই ভয় কেটে যাওয়ার পরের মুহূর্তটা আরও সাংঘাতিক। যুদ্ধ, রাজনীতি, ব্যবসা, প্রেম সর্বত্রই এটা সমান সত্য। চাপ আর ভয় দেখিয়ে কাউকে বেঁধে রাখলে ভিতরে ভিতরে পুষে রাখা ক্রোধ আর প্রতিহিংসা একদিন ঠিক আগুন হয়ে সব ছারখার করে দিতে বাধ্য। বিজেপির এখন সেই দশা। হাজার ভয় দেখিয়ে, ইডি, সিবিআই লাগিয়েও আর কাউকে গেরুয়া রঙে আর রাঙানো যাচ্ছে না। ও সব এখন অতীত। টানতে টানতে সুতোটাই ছিঁড়ে গিয়েছে। ২ মে দুপুরের পরই ওই আতঙ্কের মহামরণ ঘটে গিয়েছে। বঙ্গ নেতৃত্ব তাই দিশাহারা, চুরমার। অগত্যা আরও অপরিচিত কাউকে তুলে এনে সভাপতি বদল তাই স্রেফ বাহানা। দিলীপ, সুকান্ত কারও কম্ম নয় এখান থেকে শীঘ্রই দলকে আবার জাগিয়ে তোলা।নিজস্ব সংগঠন তৈরি না করে শুধু আমদানি করা আর দল ভাঙা নেতা দিয়ে যে বাংলার মতো বিশাল রাজ্য দখল সম্ভব নয়, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মোদি-অমিত শাহ। আর বাংলার ভার এইসব নেতাদের হাতে পড়লে তাঁদের কী হাল হতো, এই ভেবে বাংলার মানুষ দুর্গা নাম জপছেন। কোথায় এখন মেনন, বর্গী, প্রকাশরা। হোটেলের পর হোটেল ভাড়া নিয়ে ভিনরাজ্যের নেতাদের বাজিকর সাজিয়ে এক পাও এগতে পারেনি গেরুয়া সংগঠন। প্রচারে, হাওয়াই জাহাজ ভাড়া করতে, নেতা কিনতে এত বিপুল খরচের তদন্ত হওয়া উচিত। বিশেষত কোভিড পরিস্থিতিতে যখন সবাই রোজগার হারিয়ে অসহায় তখন নগদ টাকার এই হরিলুট কেন? গেরুয়া শিবির সময় থাকতে বোঝেনি, ছাদ দিয়ে জল পড়া বাড়িতে যত দামি রং-ই দেওয়ালে লাগান কোনও কাজেই আসে না। তাই বাইরের সাময়িক চাকচিক্য ভোট যেতেই খসতে শুরু করেছে। আর দলের ভাঙন রুখতে না পারার ব্যর্থতা মাথায় নিয়ে সরতে হয়েছে গোরুর দুধে সোনার আবিষ্কর্তা দিলীপবাবুকে। তবে তাঁর বদলে যাঁকে আনা হয়েছে তিনিও বঙ্গ বিজেপির এই দুর্দিনে কতটা বালির বাঁধ দিতে সমর্থ হবেন তা গবেষণার বিষয়। রাজ্য রাজনীতির এই সন্ধিক্ষণে ভবানীপুর থেকেই অশুভ শক্তির বিনাশের শপথ নিতে হবে। বাংলার পবিত্র মাটিতে বহিরাগত ষড়যন্ত্র আর কোনওভাবেই বরদাস্ত নয়। ৩০ সেপ্টেম্বর ঝড় বৃষ্টি দুর্যোগ যাই হোক ভোট দেওয়া প্রত্যেক ভবানীপুরবাসীর অবশ্য কর্তব্য। তাহলেই বাংলার মাটিতে এক নয়া ইতিহাস রচিত হবে। আর সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়েই চব্বিশে ফের একবার বাঙালি প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার স্বপ্ন দেখবে বাংলা। ভবানীপুর থেকেই সেই নয়া ইতিহাস লেখা শুরু হোক।
26th  September, 2021
বিদ্বেষপূর্ণ এবং মিথ্যে ধর্মযুদ্ধ

ইতিহাস বলছে, ক্রুসেডস হল কিছু ধর্মযুদ্ধ, যা একাদশ শতকের শেষাশেষি শুরু হয়েছিল। লড়াইগুলো হয়েছিল ১০৯৫ এবং ১২৯১ খ্রিস্টাব্দের ভিতরে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে এসব সংঘটিত হয়েছিল ইউরোপীয় খ্রিস্টানদের দ্বারা। বিশদ

‘উপেক্ষিত নায়ক’ হয়েই
থেকে গেলেন দিলীপ
তন্ময় মল্লিক

মুখ বদলে ‘মুখরক্ষা’ মোদি-অমিত শাহ জমানার নয়া কৌশল। গুজরাত থেকে বাংলা, সর্বত্র একই ট্রেন্ড। কেন্দ্রের ব্যর্থতার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর এই টেকনিক তাঁদেরই আমদানি। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে বসানো তারই অঙ্গ। বিশদ

25th  September, 2021
ম্যানগ্রোভকে ঘিরেই
সুন্দরবনবাসীর হাসি-কান্না
শ্যামল মণ্ডল

লক্ষ্য সুন্দরবনের মধ্যে আরও একটি ‘সুন্দর’বন গড়ে তোলা। আর এই উদ্দেশ্য সফল করতে নদীবাঁধের ধার বরাবর বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভ গাছের প্রাচীর গড়ে তোলা হচ্ছে। গত তিন বছর ধরে চলছে এই কৃত্রিম ‘ম্যানগ্রোভ বন’ তৈরির কাজ। বিশদ

25th  September, 2021
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টায়
অন্যায়ের কী আছে?
সমৃদ্ধ দত্ত

উত্তমকুমার বাংলা সিনেমা জগতে সুপারস্টার হয়ে যাওয়ার পর স্থির করেছিলেন, এবার একবার হিন্দি চলচ্চিত্র সাম্রাজ্যে ভাগ্যান্বেষণের চেষ্টা করলে কেমন হয়? সেই প্রয়াস তিনি করেছিলেন। কিন্তু ভুল গাইডেন্স, সঠিক পরিকল্পনার অভাব এবং কিছু পারিষদবর্গের স্বার্থান্বেষী দিশানির্দেশের সম্মিলিত ফলাফল হিসেবে তাঁর সেই উদ্যোগটি সফল হতে পারেনি।
বিশদ

24th  September, 2021
বিমা দুর্নীতির ইতিহাস
ভুলে গিয়েছেন মোদি
মৃণালকান্তি দাস

সরকারি জীবন বিমা সংস্থায় আমজনতা টাকা রাখেন নিরাপদ মনে করে। একের পর এক দুরবস্থা সামাল দিতে তাকেই এগিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত পুঁজিকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে কেন? যে রুগ্ন সংস্থাগুলিকে এলআইসি টাকা ধার দিয়েছে, তা শোধ না হলে কী হবে?
বিশদ

23rd  September, 2021
আফগান মেয়েদের কথা
ভাবলই না চীন, রাশিয়া
হারাধন চৌধুরী

চীন-রাশিয়ারই অস্ত্রে বলীয়ান হয়ে তালিবান এই যে মানবাধিকারকে লাগাতার বলাৎকার করে যাচ্ছে, তাতে সিলমোহর দিচ্ছে কোন নীতিতে এই দুই ‘মহান’ রাষ্ট্র? শুধু চীন, রাশিয়ার ‘অর্ধেক আকাশ’ মুক্ত থাকলেই হল, তাই তো! বিশদ

22nd  September, 2021
লগ্ন মেনেই টিকা!
মোদির ভারতের ভবিতব্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনার জন্মদিনের প্রোপাগান্ডায় আড়াই কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ আমাদের মনে কিছু প্রশ্নের ঝড় তুলে দেয়। সেখানেও হিসেবে গরমিলের অভিযোগ ওঠে। আমরা ভাবতে বাধ্য হই, আপনি শুধুই নিজের তূণীর সমৃদ্ধ করতে বেশি আগ্রহী। একদিন ২৫ লক্ষ ভ্যাকসিন, আর একদিন আড়াই কোটি ডোজের অঙ্কে সাধারণ মানুষের জীবনের পথ মসৃণ হয় না। তাতে কাঁটার সংখ্যা বাড়তেই থাকে। 
বিশদ

21st  September, 2021
বৈষম্য ও অবিচার
বড্ড চোখে লাগছে
পি চিদম্বরম

রাজ্য সরকারগুলি রাজ্যের করদাতাদের টাকায় কেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করবে? কেন ছেলেমেয়েরা মাতৃভাষার মাধ্যমে পড়বে? কেন রাজ্য বোর্ডের পরীক্ষায় বসবে? রাজ্য শিক্ষা বোর্ড রেখে দেওয়ার আদৌ যুক্তি আছে কি আর? শহুরে ছাত্ররা কি পিএইচসি এবং মফস্‌সলের হাসপাতালগুলিতে রোগীর সেবা করবে? ‘মেরিট’ সম্পর্কে এক সন্দেহজনক তত্ত্ব খাড়া করে নিট মারাত্মক বৈষম্য ও অবিচারের এক নতুন যুগের সূচনা করছে।
বিশদ

20th  September, 2021
মোদির গৌরব, অগৌরব
ও বিপন্ন সাংবাদিকতা
হিমাংশু সিংহ

আমেদাবাদের সাংবাদিক ধবল প্যাটেল গত প্রায় এক বছর দেশছাড়া। তাঁর অপরাধ কী? সওয়া এক বছর আগে তিনি লিখেছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিকে সরতে হচ্ছে। আজ ১৬ মাস বাদে তাঁর পূর্বাভাস মিলেও গিয়েছে হুবহু। গত ১১ সেপ্টেম্বর নিজেই ইস্তফা দিয়েছেন কিংবা বাধ্য হয়ে সরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী রুপানি। বিশদ

19th  September, 2021
মোদিকে টক্কর দিচ্ছেন মমতা
তন্ময় মল্লিক

ক্ষমতায়, পদমর্যাদায়, দাপটে, প্রভাবে যে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক অনেক এগিয়ে। কিন্তু টাইমের সমীক্ষায় ফারাকটা তেমন কিছু নয়, বরং খুব কাছাকাছি। পৃথিবীর বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘টাইম’ জানিয়ে দিল, এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা ভারতবর্ষের একজনেরই আছে। নাম তাঁর মমতা।
বিশদ

18th  September, 2021
আফগান যুদ্ধ: কার লাভ
কার ক্ষতি? এরপর কী?
সমৃদ্ধ দত্ত

চীন অথবা আমেরিকা?  অলক্ষ্যে চলছে এক মরণপণ প্রতিযোগিতা! কে হবে আগামী সুপার পাওয়ার? এই চীন ও আমেরিকার সুপার পাওয়ার হওয়ার যুদ্ধে কোন দেশটির ভূমিকাই হতে পারে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। ভারত!
বিশদ

17th  September, 2021
মোদি জমানায় শিক্ষার গেরুয়াকরণ
মৃণালকান্তি দাস

বিজ্ঞানভিত্তিক মননের জন্ম তাঁরাই দিতে পারেন যাঁরা সর্বপ্রকার কুসংস্কারাচ্ছন্ন চিন্তা এবং অনৈতিহাসিক ভাবনা-ধারণা থেকে মুক্ত। এই শিক্ষানীতিতে ছাত্রমনকে ‘বিজ্ঞান ও যুক্তি নির্ভর’ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সাংবিধানিক পদমর্যাদাসম্পন্ন নানা ব্যক্তির মুখনিঃসৃত বাণী শুনছি যে, ‘মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট’,  ‘বেদের যুগে এরোপ্লেন’ ইত্যাদি। সেই তাঁরাই ছাত্রদের বিজ্ঞানসম্মত মনন বিকাশের দায়িত্ব নেবেন?  বিশদ

16th  September, 2021
একনজরে
লেসলি ক্লিভলিকে গোলরক্ষক কোচ নিযুক্ত করল এসসি ইস্ট বেঙ্গল। তিনি এর আগে চেলসিতে কাজ করেছেন। ক্লিভলির উয়েফা ‘এ’ লাইসেন্স রয়েছে। ...

শান্তিস্বরূপ ভাটনাগর পুরস্কার ঘোষণা হবে, আর তাতে বাঙালি বিজ্ঞানীদের রমরমা থাকবে না, এমন ছবি বহু বছর দেখা যায়নি। এবারের ১১ জন পুরস্কার প্রাপকদের তালিকাতেও রয়েছেন চারজন বাঙালি। ...

ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করতে এসে পুলিসের জালে ধরা পড়ল তিন পাচারকারী। ক্রেতা সেজে রবিবার ভোরে বালুরঘাটের অমৃতখণ্ডের কামারপাড়া থেকে ৮০০০ ইয়াবা সহ তিন জনকে পুলিস ...

‘কাকা আভি জিন্দা হ্যায়…।’ ‘কাকা’ নামেই ছত্তিশগড়ে খ্যাত ভূপেশ বাঘেল। মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষনেতাকে এই নামেই ডাকতে অভ্যস্ত দলের কর্মী-সমর্থকরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পর্যটন দিবস
১৯৫৮ - ভারতীয় হিসাবে প্রথম মিহির সেন ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন।
১৯০৭ - বিপ্লবী শহিদ ভগৎ সিংয়ের জন্ম
১৮৩৩: বিশ্বপথিক রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যু
১৯৩২: ভারতীয় চিত্রপরিচালক যশ চোপড়ার জন্ম
২০০৮: প্রখ্যাত ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী মহেন্দ্র কাপুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম)  
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম)  
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম)  
রূপার বাট (প্রতি কেজি)  
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি)  
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

 ১০ আশ্বিন ১৪২৮, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১। ষষ্ঠী ২৫/৩৩ দিবা ৩/৪৪। রোহিণী নক্ষত্র ৩০/২৮ সন্ধ্যা ৫/৪২। সূর্যোদয় ৫/৩০/২১, সূর্যাস্ত ৫/২৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ৮/৪০ গতে ১১/৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৯ গতে ১১/৪ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/০ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/২৭ গতে ৩/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৫৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১০ আশ্বিন ১৪২৮, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১। ষষ্ঠী দিবা ১/৮। রোহিণী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/২৭। সূর্যোদয় ৫/৩০, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ৮/৪১ গতে ১০/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৭ গতে ১০/৫৭ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/০ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/২৮ গতে ৩/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৫৮ গতে ১১/২৯ মধ্যে।
 ১৯ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল ২০২১ : রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের

11:06:59 PM

আইপিএল ২০২১ : হায়দরাবাদ : ৯১/১ (১০ ওভার)

10:14:16 PM

আইপিএল ২০২১ : সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৬৫ রান

09:38:30 PM

আইপিএল ২০২১ : রাজস্থান ৮১/৩ (১১ ওভার)

08:27:31 PM

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ...বিশদ

08:25:56 PM

কয়লাপাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার লালা ঘনিষ্ঠ ৪ অভিযুক্ত
আজ, সোমবার কয়লাপাচার কাণ্ডে লালা ওরফে অনুপ মাজি ঘনিষ্ঠ ৪ ...বিশদ

05:31:00 PM