সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান ফয়েজ আহমেদ। আর তারপরই গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অন্যদিকে বাঁক নেয়।
পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সক্রিয়তায় হাক্কানি গোষ্ঠীর সন্ত্রাসবাদীরাই হয়েছে তালিবান সরকারের সবথেকে ক্ষমতাবান মন্ত্রী। অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সকলেই এই গোষ্ঠীর। আর তার ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার গঠনের আগেই তালিবান যোদ্ধারা আবার প্রদর্শন করতে শুরু করেছে সেই
নব্বই দশকের আচরণ। অর্থাৎ মহিলাদের খেলা বন্ধ, গান বাজনা বন্ধ, বিরোধিতা করলেই গুলিবর্ষণ ইত্যাদি। তালিবানের অন্য গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই এই আচরণের বিরোধিতা করে বলতে শুরু করেছে এভাবে আমাদের বদনাম বাড়ছে সরকার গঠনের আগেই। আর পশ্চিমী দেশ অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পড়বে
এর জেরে। এসবের কারণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়েছে। রাস্তায় নেমে পাকিস্তান বিরোধী মিছিল সমাবেশ চলছে। পাকিস্তানের নির্দেশে সেইসব সভা সমাবেশে গুলি করছে তালিবান যোদ্ধারা। গ্রেপ্তার করা চলছে নির্বিচারে সাধারণ মানুষ থেকে সাংবাদিক, সমাজকর্মীদের। এই নিয়ে এবার তালিবানের নরমপন্থীদের সঙ্গে কট্টরপন্থীদের চরম বিবাদ তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে তালিবানের ওই ক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর কমান্ডার প্রকাশ্যেই বলছে পাকিস্তান তালিবানের সর্বনাশ করে দিচ্ছে। তালিবানের গায়ে যাতে চিরস্থায়ী জঙ্গিছাপ লেগে যায় সেটাই পাকিস্তানের প্ল্যান। আর তাই পাকিস্তানের কলকাঠিতে তৈরি হওয়া এই সরকারের আয়ু বেশিদিন হবে না বলেই আশঙ্কা। সুতরাং তালিবানের অন্দরের গোষ্ঠী বিবাদ সামাল দেওয়াই আপাতত সবথেকে কঠিন কাজ তালিবানের নয়া প্রধানমন্ত্রীর।