সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ঝড়-বৃষ্টি বা হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে উপকূলবর্তী এলাকায় কী পরিস্থিতি হয়, সেটা জানতেই ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই ছবি দেখেই কী করণীয়, সঙ্গে সঙ্গে সেই নির্দেশ পাঠানো যাবে। গত কয়েক বছর একের পর এক দুর্যোগ নেমে এসেছে এই জেলায়। ঘূর্ণিঝড় হোক বা নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি— সব ক্ষেত্রেই কমবেশি বিপর্যস্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। আগে অনেক ক্ষেত্রে দুর্যোগের সঠিক তথ্য বা চিত্র পাওয়া যেত না। সেইসব রেকর্ড করতে এবার এই বিশেষ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। জেলা সূত্রে খবর, নামখানা, কাকদ্বীপ, সাগর ব্লকের বাছাই করা কিছু জায়গায় ওই ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, এমন এমন জায়গায় ক্যামেরাগুলি লাগানো হয়েছে, যাতে সব কিছু ধরা পড়ে। শুধু তাই নয়, জায়গা বাছাইয়ের সময় সেখানে সিগন্যাল ব্যবস্থা কতটা জোরদার, তাও বিবেচনা করা হয়েছে। তাই সাগরে কপিলমুনি মন্দিরের সামনে, কাকদ্বীপে লট এইটের কাছে একটি হোটেলের ছাদে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। জলস্তর কতটা বাড়ল বা ঝড়ের গতিপ্রকৃতি কেমন, ওই ক্যামেরার মাধ্যমে তা এবার ঘরে বসেই সরাসরি দেখা যাবে। সম্প্রতি সাগরে যে টর্নেডো হয়েছে, ক্যামেরার অভাবে সেটির উৎস দেখা যায়নি। ভবিষ্যতে এমন কিছু হলে, তা ধরা পড়বে ক্যামেরায়। দুর্যোগের পূর্বাভাসকে ঘিরে উপকূলবর্তী এলাকায় যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, ক্যামেরা থাকায় তার উপর নজরদারি চালাতে সুবিধা হবে বলে মনে করছেন জেলার কর্তারা। এই ক্যামেরার বিশেষত্ব হল রোদ, বৃষ্টি এবং বাজ থেকে সুরক্ষিত। সাধারণ সিসিটিভি’র থেকে এই ক্যামেরা অনেকটাই আলাদা।
দু’-তিনদিন আগেই ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। নবান্নে বসেই এখন উপকূলের ছবি দেখা যাচ্ছে। আসন্ন ঝড়-বৃষ্টির ছবি ঠিকভাবে দেখা গেলে আগামী দিনে গোসাবা সহ অন্যান্য দুর্যোগ প্রবণ এলাকাতেও এমন ক্যামেরা বসানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে এখানেই থেমে থাকছে না জেলা প্রশাসন। বিপর্যয়ের সময় কীভাবে কাজ করতে হবে তা সিভিল ডিফেন্স কর্মী, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, বিভিন্ন ক্লাবের সদস্য, থানার ওসি বা আইসি, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, কন্যাশ্রী ছাত্রীদের হাতে-কলমে শেখানো হয়েছে। আপতকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ ও প্রাথমিক চিকিৎসা কীভাবে করতে হবে, মূলত তার উপরেই প্রশিক্ষণ দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।