আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
বেলজিয়ামের ঘটনা। সেখানকার একটি বৃদ্ধাশ্রমে দু’সপ্তাহ আগে সান্তা সেজে এসেছিলেন খোদ চিকিৎসক। উদ্দেশ্য ছিল, আবাসিকদের একাকীত্ব কাটাতে তাঁদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো। আর তা করতে গিয়েই বড় বিপত্তি। ওই চিকিৎসকও জানতেন না তিনি করোনায় আক্রান্ত ‘সুপার স্প্রেডার’। ফলে সবার সঙ্গে খোলামেলা মিশে গিয়েছেন তিনি। তাঁর সংস্পর্শে যাঁরাই এসেছেন তাঁরাই সংক্রামিত। এমনটাই স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। গোটা ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে নেট-বিশ্বে।
ওই বৃদ্ধাশ্রম বা হোমটিতে ১২১ জন আবাসিক থাকেন। এছাড়াও রয়েছেন ৩৬ জন কর্মী। সান্তার সংস্পর্শে এসে তাঁরা প্রত্যেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। বড়দিনকে সামনে রেখে হোমের বয়স্ক সদস্যদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করতে সান্তাকে ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ঠিক হয়, হোমে এসে সান্তা সবাইকে উপহার দেবেন। সেই মতোই পরিকল্পনা করা হয়—আবাসিকদের দেখাশোনা করেন যে চিকিৎসক, তিনিই সান্তা সেজে আসবেন।
হোমের কর্মীরা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট দিনে সান্তা আসেন। সবার সঙ্গে বসে গল্পগুজব করেন। কিন্তু তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, তার শরীরটা যেন ঠিক নেই। তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না। হোমের সদস্যদের সঙ্গে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় কাটানোর পর যখন তিনি একটু বেশি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন, তখনই তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। রিপোর্টে দেখা যায় তিনি পজিটিভ। ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। হোমের আবাসিক থেকে কর্মীরা একের পর এক অসুস্থ হতে শুরু করেন। প্রত্যেকের রিপোর্ট পজিটিভ আসতে থাকে। মাথায় হাত পড়ে হোম কর্তৃপক্ষের। তড়িঘড়ি সবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তার পরও ১৮ জনের মৃত্যুকে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি।
স্থানীয় মেয়র উইম কেয়ার্স জানিয়েছেন, আগামী দশদিন ওই হোমের সদস্যদের জন্য গভীর উদ্বেগে রয়েছি। সান্তার উপহার বিলির অনুষ্ঠান সেখানে নিয়ম মেনে হয়নি বলেও তোপ দেগেছেন তিনি।