সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
ইস্টার রবিবারে শ্রীলঙ্কায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫৩ জন। আহত হন পাঁচশোরও বেশি মানুষ। এরপরেই জঙ্গিদমন অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। হামলার একদিন পরেই দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় আইএস। আত্মঘাতী জঙ্গিদের পরিচয় প্রকাশ করে তারা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার সরকার জানায়, এই হামলায় স্থানীয় কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠন এনটিজের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। তদন্তে জানা যায়, সাংগ্রি-লা হোটেলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে এনটিজে প্রধান জাহরান হাসিম। কিন্তু তার দুই ভাই জাইনি হাসিম, রিলওয়ান হাসিম এবং তাদের বাবা মহম্মদ হাসিমের কোনও খোঁজ মিলছিল না। হামলার কিছুদিন আগে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুদ্ধে নামার ডাক দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিল জাহরান হাসিম। সেখানে তার দুই ভাই ও বাবাকেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু হামলার পর থেকেই তাদের কোনও সন্ধান পায়নি পুলিস।
গত শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরে নিরাপত্তাবাহিনী জানতে পারে, কালমুনাই শহরের একটি বাড়িতে কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে। এলাকা ঘিরে ফেলে অভিযানে নামে সেনা ও টাস্ক ফোর্স। দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলে। সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে প্রাণ হারান এক সাধারণ নাগরিক। এর কিছুক্ষণ পরেই পালাবার পথ নেই বুঝতে পেরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় তিন জঙ্গি। এই সংঘর্ষ নিয়ে মুখ খোলেন ইস্টার হামলার মাস্টারমাইন্ড জাহরান হাসিমের আত্মীয় নিয়াজ শরিফ। তিনি জানান, জাইনি হাসিম, রিলওয়ান হাসিম এবং তাদের বাবা মহম্মদ হাসিম যে গোপন আস্তানায় লুকিয়ে ছিল, সেখানেই হানা দেয় নিরাপত্তাবাহিনী। এই সংঘর্ষে তাদের তিনজনেরও মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত শুক্রবার রাতে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযান নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আইএস। রবিবার নিজেদের মুখপত্র আমাক-এ ওই তিন আত্মঘাতী জঙ্গি— আবু হাম্মাদ, আবু সুফিয়ান ও আবু আল-কাকাকে নিজেদের সদস্য বলে দাবি করে আইএস। মুখপত্রে আরও বলা হয়, স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছিল ওই তিন জঙ্গি। কিন্তু গুলি শেষ হয়ে যাওয়ায় শরীরে বাঁধা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয় তারা। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ছ’জন শিশু ও তিনজন মহিলাও রয়েছেন। পুলিসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মৃত ১৫ জনের মধ্যে আত্মঘাতী তিন জঙ্গিও রয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরকের পাশাপাশি ডিটোনেটর, আত্মঘাতী বোমার কিট, সেনার ইউনিফর্ম এবং আইএসের পতাকাও মিলেছে বলে খবর।