সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
গত ২১ এপ্রিল ইস্টারের রবিবার কলম্বোর ৯টি জায়গায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ২৫৩ জনের। আহত হন পাঁচশোরও বেশি মানুষ। তারপরই দেশজুড়ে কঠোর জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করে সেনা ও পুলিসকে নিয়ে গঠিত বিশেষ টাস্ক ফোর্স। হামলার দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট (আইএস) আত্মঘাতী জঙ্গিদের পরিচয় প্রকাশ করে। কিন্তু, শ্রীলঙ্কার সরকার প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল, এই হামলায় স্থানীয় কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠন ন্যাশনাল তৌহিদ জামাথ (এনটিজে)-এর প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। শুক্রবার রাতে টাস্ক ফোর্সের কাছে খবর আসে কলম্বো থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে কালমুনাই শহরের একটি বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। রাতেই তড়িঘড়ি অভিযানে নেমে বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে বাহিনী। পালানোর পথ নেই বুঝতে পেরে জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় সেনাও। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুও হয়। সংঘর্ষের মাত্রা বাড়তেই তিন জঙ্গি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়।
পুলিসের মুখপাত্র রুয়ান গুণশেখর বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে মোট ১৫টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে ছয় শিশু ও তিন মহিলার দেহ রয়েছে। সংঘর্ষে কমপক্ষে চার সন্দেহভাজন আত্মঘাতী জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে এবং আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সান্থামুরুথু এলাকায় সংঘর্ষ থামার পর ঘটনাস্থল থেকে টি-৫৬ অ্যাসল্ট রাইফেল সহ এক জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে প্রচুর বিস্ফোরকও উদ্ধার করেন বাহিনীর সদস্যরা।’ ভারতের বিদেশ মন্ত্রক শনিবার জানায়, খুব প্রয়োজন ছাড়া শ্রীলঙ্কায় যাওয়াটা এই মুহূর্তে যাবেন না।