গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
ব্রিটিশ শাসনের উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী এদিন কংগ্রেস অনুগামীদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেছেন, ‘ব্রিটিশরা বিভাজনের নীতিতে বিশ্বাস করত। তারাও গণেশ উৎসবকে ঘৃণা করত। এখনও ক্ষমতালোভীরা বিভাজনের নীতিতে সমাজকে ভাগ করতে চায়। গণেশ পুজো নিয়ে তাদেরও সমস্যা রয়েছে। দেখতেই পাচ্ছেন, আমি গণেশ পুজোয় গিয়েছি বলে কংগ্রেস ও তার সঙ্গীরা ব্যাপক চটে গিয়েছে।’
গত ১০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন মোদি। এরপরই তিনি প্রধান বিচারপতি এবং তাঁর স্ত্রী কল্পনার সঙ্গে নিজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। বিরোধীদের একাংশের তরফে প্রধানমন্ত্রীর এই আচরণের কড়া সমালোচনা করা হয়। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই ধরনের পদক্ষেপ সমাজে ‘অস্বস্তিকর বার্তা’ দেয়। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় স্তরের নেতারা অবশ্য প্রথমে প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু, গেরুয়া শিবির এক্ষেত্রে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উদাহরণ টানায় মুম্বই কংগ্রেস নেতারা সরব হন। বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেছিলেন, ২০০৯ সালে মনমোহন সিংয়ের ইফতার পার্টিতে গিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি কে জি বালাকৃষ্ণান। মুম্বই কংগ্রেসের তরফে ‘এক্স’ হ্যান্ডলে লেখা হয়েছিল, ইফতারের মতো পাবলিক ইভেন্ট এবং কারও বাসভবনে ব্যক্তিগত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান কিন্তু এক নয়। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। কংগ্রেস এদিন বলেছে, সামনেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভার নির্বাচন রয়েছে। প্রচারের তাগিদেই মোদি প্রধান বিচারপতির বাড়ির পুজোয় গিয়েছিলেন। বেণুগোপালের কটাক্ষ, ‘বিজেপি-আরএসএস কখনও প্রাতিষ্ঠানিক অখণ্ডতা ও সাংবিধানিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করে না। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি ভগবান গণেশের অপব্যবহার বন্ধ করুন।’