গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
গত ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ঊণকোটি জেলার কৈলাসশহরে ঢুকে পড়ে একটি হাতি। তার তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ছাগলডেমার বহু ঘরবাড়ি, জমির ফসল। কৈলাসশহর বনদপ্তরের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। হাতিটিকে উদ্ধার করে বনবিভাগ। রাংরুং গ্রামে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাতিটিকে ধলাই জেলার মুঙ্গিয়াকামি রিজার্ভ ফরেস্টে পাঠানো হয়। এর পরেই প্রশ্ন ওঠে, হাতিটি এল কোথা থেকে? গ্রামবাসীদের অনুমান, সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে পড়েছে হাতিটি। তাঁরা জানিয়েছেন, হাতিটির শরীরে বহু ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। সম্ভবত সীমান্তের কাঁটাতারেই জখম হয় গজরাজ। পাশাপাশি, ভারতে মালিককে চিহ্নিত করতে হাতিদের শরীরে মাইক্রোচিপ বসানো থাকে। কিন্তু উদ্ধার হওয়া হাতির শরীরে এমন কোনও মাইক্রোচিপ মেলেনি। বাংলাদেশ সরকার হাতি চিহ্নিত করতে কোনও মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে না। ফলে হাতিটি ওপার বাংলা থেকে এদিকে চলে আসতে পারে বলে অনুমান। এদিকে, হাতি উদ্ধারের খবর চাউর হতেই কৈলাসশহরের বনদপ্তরের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন। তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের হাতিটির মালিক বলে দাবি করেন। বনদপ্তরের আধিকারিক অর্ধেন্দু বিকাশ দাস বলেন, ‘বর্তমানে হাতিটির চিকিৎসা চলছে। তবে সেটি বাংলাদেশ থেকে এসেছে কি না, সেব্যাপারে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।’ যদিও এই ঘটনায় সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নিজস্ব চিত্র