ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
অন্যদিকে, বিরোধী জোটের তরফে বাগপত থেকে লড়ছেন সমাজবাদী পার্টির অমরপাল শর্মা। মনোজ চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেও তাঁকে টিকিট দেননি মুলায়ম-পুত্র। ২০১২ সালে বিএসপির টিকিটে শাহিদাবাদ থেকে বিপুল ভোটে জিতে বিধানসভায় যান অমরপাল। ২০১৭ সালে দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করে মায়াবতীর দল। এরপর কংগ্রেস ঘুরে ২০২১ সালে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন তিনি। এসপি-কংগ্রেস জোটের হয়ে প্রার্থী হন ‘ব্রাহ্মণ’ অমরপাল। পাশাপাশি, এবারের লোকসভায় একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মায়াবতীর দল। প্রার্থী হয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের আইনজীবী প্রবীন বনশল। পরিসংখ্যান বলছে, ধারেভারে অনেকটাই এগিয়ে এনডিএ। ২০১৪ সালে জিতেছিলেন বিজেপির সত্যপাল সিং। হারিয়েছিলেন আরএলডি প্রধান জয়ন্ত চৌধুরীকে। তার আগে দু’বারের সাংসদ ছিলেন আরএলডির অজিত সিং। রাজ্যের পশ্চিম অংশে মূলত জাঠ এবং কৃষিজীবী মানুষের বাস। যাদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে আরএলডির। মূলত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে মরিয়া আরএলডি। এই কেন্দ্রের পাঁচটি বিধানসভা আসনই এনডিএ কব্জায়। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীর একটাই ভরসা। বাগমত এক দল দীর্ঘদিন পছন্দ করে না। চৌধুরী পরিবারের উপর বিশ্বাস থাকলেও হেরেছেন তাঁরা। যেমন গতবারই হারেন স্বয়ং জয়ন্ত চৌধুরী।
কিন্তু চরণ সিংয়ের নাম ভাঙানোর সুযোগ হাতছাড়া করছে না এনডিএ। ‘ভারতরত্ন’ চৌধুরী চরণ সিংয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন আরএলডি প্রধান। ও স্বয়ং যোগী। পাল্টা কৃষক আন্দোলনের কথা তুলছে বিরোধীরা।
হিসেব বলছে, লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই হিন্দু ভোটার। ২৫ শতাংশ মুসলিম। বাগপতে তফসিলি জাতিভুক্ত ভোটার রয়েছেন ১৪.১ শতাংশ। গ্রামীণ ভোটার রয়েছেন ৭৬ শতাংশ, এবং শহুরে এলাকায় বাস ২৪ শতাংশের।