আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
বিদিশা প্রথম থেকেই বিজেপি-জনসঙ্ঘের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ১৯৬৭ সালে এই কেন্দ্রে প্রথম লোকসভা ভোটে জয়ী হয়েছিল ভারতীয় জনসঙ্ঘ। কংগ্রেস এখানে জিতেছে মাত্র দু’বার। ১৯৮০ ও ১৯৮৪ সালে। এই কেন্দ্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের নাম। অতীতে এখান থেকেই জিতেছেন অটলবিহারী বাজপেয়ী, সুষমা স্বরাজের মতো গেরুয়া শিবিরের অতি-গুরুত্বপূর্ণ নেতানেত্রীরা।
বিদিশার সঙ্গে শিবরাজের সম্পর্কের সূত্রপাত সেই নব্বইয়ের দশক থেকে। ১৯৯১ সালে এখান থেকে প্রথমবার লোকসভায় নির্বাচিত হন তিনি। তারপর ২০০৪ পর্যন্ত টানা পাঁচবার। ২০০৫ সালে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সাংসদ পদ ছাড়েন তিনি। প্রাচীন শুঙ্গ বংশের রাজধানী থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে পায়ের তলায় জমি শক্ত করতে পেরেছিলেন শিবরাজ। এখানকার বুধনি বিধানসভা তাঁর গড় হিসেবেই পরিচিত। মোট আটটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে বিদিশায়। ভোজপুর, বিদিশা, ইচ্ছাওয়ার, বাসোদা, খাটেগাঁও, সাঁচি, সিলওয়ানি ও বুধনি। রাজ্যে সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে সাতটিই গিয়েছে বিজেপির দখলে। কংগ্রেস টিমটিম করে জ্বলছে শুধু একটি আসনে। কাজেই শিবরাজের মতো হেভিওয়েটের সঙ্গে কংগ্রেসের লড়াই যে খুবই কঠিন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও মাত্র ২৭.৯৯ শতাংশ ভোট পেয়ে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী শৈলেন্দ্র প্যাটেল। ৮ লক্ষ ৫৩ হাজার ২২ ভোট পেয়েছিলেন বিজেপির রমাকান্ত ভার্গব। শতাংশের হিসেবে ৬৮.২৩। হাত শিবির পেয়েছিল মাত্র ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৩৮ ভোট। বিজেপির জয়ের ব্যবধান ছিল পাঁচ লক্ষেরও বেশি। এমন সহজ পিচেই লড়তে নেমেছেন মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে ‘মামা’ হিসেবে পরিচিত শিবরাজ। প্রচারে শিবরাজের হাতিয়ার তাঁর সরকারের আমলের প্রকল্প ও মোদি সরকারের জনমুখী কর্মসূচি। হিন্দুত্বের আবেগ উস্কে দিতেও চেষ্টার কসুর করছে না বিজেপি। তবে মূল্যবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের মতো ইস্যু বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে এখানে। স্থানীয় এলাকার উন্নয়নে ঘাটতি, কৃষকদের সমস্যার মতো ইস্যুকেও হাতিয়ার করছে বিরোধীরা।