সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
উচ্ছ্বসিত অভিষেক মিছিলে গোলাপের পাপড়ি ছুড়ে দেন। রোড শো শেষে সিতাই বিডিও অফিস মোড়ে তিনি জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, কোচবিহারে এবার জয় নিশ্চিত। বিজয় মিছিল করতে আমি ফের আসব। তৃণমূলকে ভোট না দিলে বঞ্চিত হবে বাংলা। পাঁচ বছর আগে ভোট নিয়ে যে বেইমানি করেছে বিজেপি, তাদের এবার উচিত শিক্ষা দেওয়ার ভোট। বিদায়ী বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের আশীর্বাদে নেংটি ইঁদুর বাঘে পরিণত হয়েছিল। এবার সেই বাঘকে ফের ইঁদুরে পরিণত করতে হবে।
চৈত্র সেলে উপচে পড়েছিল মহিলাদের ভিড়। জনতার কাছে অভিষেক জানতে চান এত ভিড় কেন? মহিলারা জানিয়ে দেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধির জন্য। কোচবিহারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের খতিয়ান এদিন তুলে ধরেন অভিষেক। সেই খতিয়ান প্রতি বুথে ১০ জনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান প্রতিটি কর্মীকে। ইভিএমের ১ নম্বর বোতামের জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। কোচবিহারের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন অভিষেক। তিনি বলেন, নির্বাচনে জেতার পরে নিশীথ প্রামাণিককে কোচবিহারে দেখা যায়নি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার এসেছেন। তাই কানে শুনে নয়, এবার চোখে দেখা উন্নয়ন দেখেই তিনি ভোট দিতে বলেন মানুষকে। তিনি আরও বলেন, কোচবিহার জেলায় ৭ লক্ষ ৯২ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। ৩০ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৯২ জন রেশন পাচ্ছে। তৃণমূল ভোটে জিতলেই ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সকলেই আবাস যোজনার ঘর পাবেন। কেন্দ্রের বিএসএফ রাজবংশী যুবকদের গুলি করে মেরেছে সীমান্তে। ভোটের সময় শীতলকুচিতে তরতাজা যুবকদের গুলি করে মেরেছে সিআইএসএফ। বাংলার মানুষের সঙ্গে পাঁচ বছর যা করেছে, তার জবাব দেওয়ার ভোট এটা। সিতাইয়ের বিজেপির কনভেনর দীপক রায় বলেন, ভয়-ভীতি দেখিয়ে লোক নিয়ে আসা হয়েছে। অনেকেই হেলিকপ্টার দেখতে এসেছেন। ভোটে এর প্রভাব পড়বে না। -নিজস্ব চিত্র