নয়াদিল্লি: নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ থেকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিভাজনমূলক মন্তব্যের অভিযোগ। বিরোধী দলগুলির তরফে করা বিধিভঙ্গের এই অভিযোগের ভিত্তিতে একদিন আগেই বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাকে নোটিস ইস্যু করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবারের মধ্যে তাঁর জবাব তলব করা হয়েছে। যদিও কমিশনের সেই নোটিসকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শুক্রবার একেবারে প্রধানমন্ত্রীর সুরেই কথা বললেন বিজেপি সভাপতি। গত ২১ এপ্রিল রাজস্থানে প্রচারে গিয়ে মোদি ঠিক যা যা বলেছিলেন, এদিন দ্বিতীয় দফার ভোট চলার মধ্যেই ভিডিও প্রকাশ করে নাড্ডাও একই বক্তব্য পেশ করলেন।
এদিন ওই ভিডিওতে নাড্ডার অভিযোগ, মুসলিমদের সুবিধা করে দিতে এসসি, এসটি ও ওবিসিদের অধিকার কাড়তে চাইছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের এটা গোপন এজেন্ডা। মুসলিমদের সংরক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই ওই সম্প্রদায়কে তফসিলি জাতি বলে ঘোষণার জমি প্রস্তুত করছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতোই নাড্ডাও এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের পুরনো বক্তব্যকে হাতিয়ার করার চেষ্টা করেন। বিজেপি সভাপতির দাবি, মনমোহন সিং বলেছিলেন দেশের সম্পদের উপর মুসলিমদের অগ্রাধিকার। যদিও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর এই বিতর্ক শুরু হওয়া ইস্তক কংগ্রেস বলে চলেছে, মনমোহনের বক্তব্যের শুধুমাত্র একটি অংশকে ব্যবহার করে বিজেপি মিথ্যা ছড়াচ্ছে এবং ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা করছে। ভোটে মানুষের সমর্থন মিলছে না বুঝতে পেরেই মেরুকরণের চেষ্টা করছে।
নাড্ডা এদিন বলেন, কিছু রাজ্যে মুসলিমদের সংরক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল কংগ্রেস। যেমন কর্ণাটক। সেখানে মুসলিমদের জন্য কংগ্রেসের চালু করা সংরক্ষণ বাতিল করেছিল বিজেপি। কিন্তু ওই রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরে তা ফের ফিরিয়ে এনেছে। অন্ধ্রপ্রদেশেও মুলসিম সংরক্ষণের চেষ্টা করেছিল তারা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কারণে তাতে সফল হয়নি।