সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
১৯৫২ সালে লোকসভা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময় পালাবদলের সাক্ষী থেকেছে কোটা। কখনও জনসঙ্ঘ, কখনও কংগ্রেস, কখনও বা ভারতীয় জনতা পার্টি; কাউকেই বেশিদিন ক্ষমতার অলিন্দে রাখেননি কোটার মানুষ। তবে গত ১০ বছরে ওম বিড়লাতেই ভরসা রেখেছেন কোটাবাসী।
এবার বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী ওম বিড়লার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বাজি প্রাক্তন গেরুয়া বিধায়ক প্রহ্লাদ গুঞ্জল। বিজেপির বিরুদ্ধে গুর্জর সম্প্রদায়ের ক্ষোভ বহুদিনের। আর এই ক্ষোভকে ঢাল করেই এবার প্রহ্লাদের মতো গুর্জর প্রার্থীকে লড়াইয়ে নামিয়েছে কংগ্রেস। তাই এই মানুষটিকে কেন্দ্র করে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার লক্ষ্যে এগতে চাইছেন অশোক গেহলট-শচীন পাইলটরা। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী ওম বিড়লা। পরে আত্মপ্রত্যয়ী বিজেপি প্রার্থী বলেন, ২০১৯ সালের মতো এবারও রাজস্থানের ২৫টি কেন্দ্রেই জয়ী হবে বিজেপি। তবে হাল ছাড়তে নারাজ হাতশিবির। কংগ্রেস নেতাদের কথায়, ২০১৯ সাল এবং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। দেশের মানুষ এখন বিজেপির উপর বিরক্ত। রাজস্থানও তার ব্যতিক্রম নয়। ক্রমাগত বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির জ্বালায় জ্বলছেন সাধারণ মানুষ। তারা এর থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইছেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আটটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় ৫১.৪ শতাংশই গ্রামীণ এলাকার ভোটার। মোট ভোটারের মধ্যে রয়েছে তফসিলি জাতি-উপজাতির ভোটারও। তফসিলি জাতির ভোটার রয়েছেন প্রায় ২০.৪ শতাংশ।
তফসিলি উপজাতির ভোটারের সংখ্যা ১৩.১ শতাংশ। এছাড়া ১২.৭ শতাংশ মুসলিম ভোটার রয়েছেন। ফলে এই ভোটের সিংহভাগ যার দিকে যাবে, তারই পাল্লাভারী কোটা লোকসভায়।