একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এক প্রবীণ পুলিস আধিকারিক এদিন বলেন, ‘ওদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিশোরীটি নিজের এক বন্ধুর ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সে কথা জানতে পেরে পিছু নেয় সাহিল। এরপর প্রেমিকাকে বাগে পেয়ে প্রথমে ছুরি এবং পরে পাথর দিয়ে আঘাত করে।’
স্থানীয়দের কাছে খবর পাওয়ার পর পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেই ৩৪ বার ছুরি দিয়ে কোপানোর কথা জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে ধরতে ছ’টি টিম গঠন করে দিল্লি পুলিস। ডিসিপি (আউটার নর্থ) রবি কুমার সিং বলেন, ‘বুলন্দশহর থেকে সাহিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে শাহবাদ ডেয়ারি থানা এলাকার বাসিন্দা।’ সাহিলের বাবা-মা তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একইসঙ্গে দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিঁধেছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে। আসলে রাজধানীতে পৃথক রাজ্য সরকার থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। কারণ, দিল্লি পুলিস তাদের অধীন। টুইটে সেকথার উল্লেখ করে কেজরিওয়াল লিখেছে, ‘অপরাধীরা এখন ভয়ডরহীন। তারা এখন আর পুলিসকে ভয় করছে না। এল-জি (লেফটেন্যান্ট গভর্নর) স্যর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা আপনার দায়িত্ব। দয়া করে কিছু করুন।’
দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল খুনের বিষয়টি নিয়ে পুলিসকে নোটিস পাঠিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘দিল্লি এখন মহিলাদের পক্ষে নিরাপদ নয়।’ বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরও ঘটনার নিন্দা করেছেন। পথচলতি মানুষের উপর ক্ষোভ উগরে তাঁর টুইট, ‘কারও বোন বা মেয়ের উপর যদি এই বর্বরোচিত হামলা হয়, তখনও কি তারা এভাবে পালিয়ে যাবে? পশুরাও এমন আচরণ করে না।’