বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সরকারি সূত্রের খবর, শনিবার সিরাম ইনস্টিটিউট, ভারত বায়োটেক এবং জাইডাস ক্যাডিলা—এই তিন ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থার ইউনিট পরিদর্শন করে ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্ট। তিনি ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে, ইতিবাচকভাবে এগচ্ছে ভ্যাকসিনের কাজ। কিন্তু সঠিক দিনক্ষণ? কোনও সংশয় নেই, আগামী শুক্রবারের ভিডিও বৈঠকে সরকার-পক্ষের অথবা বিজেপি বিরোধী দলগুলির সরকার প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই প্রশ্নেরই উত্তর সবার আগে জানতে চাইবে। সরকারও তা বিলক্ষণ জানে। আর মোদিও এখন সেই উত্তর দিতে প্রস্তুত। সর্বদল বৈঠকের ডাকই তার প্রমাণ।
করোনার সময় শীতকালীন অধিবেশনে হবে কি না, সে নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাই সংসদীয় দলনেতাদের কাছে সরকার স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় যে, করোনার পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে। জল্পনা চলছে, সর্বদলীয় বৈঠকে সরকার জানাবে, শীতকালীন অধিবেশনের বদলে একবারে হবে বাজেট অধিবেশন। আগামী বছর। এই প্রস্তাবে আদৌ বিরোধী দলগুলি সায় দেয় কি না, সেটা দেখে নিতে চায় সরকারপক্ষ। ভ্যাকসিনের ‘সুসংবাদে’র পর অধিবেশন ডাকাটা সরকারের পক্ষে খানিক স্বস্তিদায়ক। চর্চা চলছে, সেই ইঙ্গিত মিলবে শুক্রবার।
ভারতের ভ্যাকসিন কবে বাজারে আসবে, সে নিয়ে বিশ্বজুড়েই জল্পনা চলছে। যদিও ভ্যাকসিনের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে ইমার্জেন্সি ইউজ তথা আপৎকালীন ব্যবহারের আবেদন জানিয়েছিল আমেরিকার অন্য সংস্থা ফাইজার। সোমবার একইভাবে আমেরিকার ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ভ্যাকসিন ব্যবহারের আবেদন করল মডার্না। তারা এদিন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন তৈরি। তাদের প্রতিষেধক ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। এখন পর্যন্ত এতটা সাফল্যের দাবি তোলেনি কোনও সংস্থাই।
একটা বিষয় স্পষ্ট, নতুন বছর সম্ভবত শুরু হবে ভ্যাকসিন সুসংবাদ নিয়েই!