কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
২০১৩ সালে ১০৯ কোটি টাকা পেয়েছিল জাদুঘর। প্রায় সব টাকাই খরচ হয়েছে। কিন্তু এই কাজ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে ক্যাগ। যেমন, এই কাজের নজরদারির জন্য কোনও বিশেষজ্ঞকে নিযুক্ত করা হয়নি। যে সংস্থাকে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা ঠিকভাবে সব করল কি না, তা দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হলেও, তার কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। নিদর্শন এবং দুর্মূল্য দ্রষ্টব্যগুলিকে সংরক্ষণ করার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রকের কোনও রূপরেখা তৈরি করে দেয়নি। এর ফলে বাড়তি খরচ যেমন হয়েছে, তেমনই ঠিকাদার সংস্থাকে অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হয়েছে।
আধুনিকীকরণের কাজের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, তার মধ্যে তিন কোটি ৭২ লক্ষ টাকা পড়ে রয়েছে জাদুঘরের কাছে। সেই টাকা সুদ সহ ফিরিয়ে দিতে হবে করপক্ষকে। ক্যাগের রিপোর্টে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সেটা হল, আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর জাদুঘরের গ্যালারি, বিভিন্ন বস্তু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও বিশেষজ্ঞ এজেন্সিও নিয়োগ করা হয়নি। যেসব গ্যালারি সংস্কার করা হয়েছে, তা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কাজ চলাকালীন বহু নিদর্শনের ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি দুষ্প্রাপ্য মূর্তি ভেঙে গিয়েছিল। বেশ কিছু গ্যালারিতে দ্রষ্টব্য জিনিসগুলি যেভাবে রাখা হয়েছে, তাতে দর্শকদের দেখতে অসুবিধা হবে। দু’-তিনটি গ্যালারির আলোর সমস্যা ছিল। পরিকল্পনাহীনভাবে সেই কাজ করা হয়েছে। মিউজিয়ামে নজরদারির জন্য ৪৪৫টি সিসিটিভি বসানো হয়েছিল। সেটা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছে ক্যাগ। তাছাড়া স্টোরে যেখানে ৯০ শতাংশের বেশি দ্রষ্টব্য জিনিস রাখা থাকে, সেখানে নজরদারির জন্য কোনও ক্যামেরা বসানো হয়নি। জাদুঘরের হিসেব বলছে, গত কয়েক বছরে তাদের আয় বেড়েছে। ক্যাগের মতে, জাদুঘরের আধুনিকীকরণের জন্য বাড়তে দর্শক এসেছে, তা কিন্তু নয়। টিকিটের দাম বাড়ানোর জন্যই আয় বৃদ্ধি হয়েছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, জাদুঘরকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলার প্রয়াস সাধারণ মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করতে পারেনি।