Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সব মানুষকে সব সময়
বোকা বানানো হচ্ছে
পি চিদম্বরম

ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে থেকে নীচের তথ্যগুলো (কিছুটা পুরনো হয়ে গিয়েছে যদিও) পেয়েছি (রঙিন টেবলটি দেখুন): কয়েক দশক যাবৎ বিভিন্ন রাজ্যে কৃষি পণ্য বাজার কমিটি (এপিএমসি) আইন চালু থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ কৃষক তাঁদের উৎপাদিত পণ্য ‘স্থানীয়’ ব্যবসায়ীদের কাছেই বিক্রি করে থাকেন। ধান এবং গম চাষিদের ৬০ শতাংশই এই শ্রেণীতে পড়েন। সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মাত্র ১ কোটি ২৪ লক্ষ ধানচাষি এবং ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৪৩ লক্ষ ৩৫ হাজার গমচাষি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) পেয়েছেন।   

এপিএমসি-র ভালো ও মন্দ দিক
কারণগুলো স্পষ্ট। কৃষকদের ৮৫ শতাংশই ছোট জোতের মালিক। মানে এক হেক্টরের চেয়েও ছোট ছোট জোতের মালিক তাঁরা। ফলে, বিক্রি করার মতো উদ্বৃত্ত ফসল তাঁদের কমই থাকে। এপিএমসি মার্কেটগুলো যেসব ছোট কৃষকের খামার থেকে অনেক দূরে, তাদের জন্য এই ব্যবস্থা লাভদায়ক নয়। কারণ পণ্যগুলো সামান্য কয়েকটা বস্তায় ভরা, লোডিং করা, গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া এবং আনলোডিং করার একটা ভালো খরচ রয়েছে। তারপর আসে এপিএমসিতে পৌঁছে প্রতীক্ষা-সহ ফি জমা করার পালা। এরপর বিক্রীত পণ্যের দাম আদায় করতে কেটে যায় দু’দিন! ছোট ছোট কৃষকের জন্য এ এক নিরর্থক ব্যবস্থা। সেই তুলনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অনেকটাই নির্ভরযোগ্য বন্ধু হয়ে ওঠেন। কারণ, তাঁরা খামারে গিয়েই পণ্য কেনেন এবং হাতে হাতে দাম মিটিয়ে দেন। দামটা তখন এমসিপি-র চেয়ে কিছুটা কম হলেও পুষিয়ে যায়।
এপিএমসি মার্কেট চত্বরগুলো পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলোর জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কারণ, এসব রাজ্যে বিক্রি করার মতো বিপুল ফসল উদ্বৃত্ত থাকে। এই দুই রাজ্যে উৎপাদিত ধান ও গমের ৭৫ শতাংশ সরকারি এজেন্সিগুলো মারফত কেনা হয়ে থাকে। অন্য রাজ্যগুলোর বেলায় কী হয়—কতিপয় পণ্ডিত এই নিয়ে তর্ক করেন যে বাজারের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয় এবং সেগুলো বেশ দূরে দূরেও। উদাহরণ হিসেবে তামিলনাড়ুর কথা বলতে চাই। ৩৬টি জেলায় ২৮৩টা বাজার রয়েছে। মানে জেলাপিছু গড়ে ৮টা বাজার। এগুলোতে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সর্বমোট ১২৯ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকার ব্যবসা হয়েছে। আর যদি মহারাষ্ট্রের কথা ধরি, সেটাও খুব ভালো দৃষ্টান্ত নয়। সেখানে বাজারের সংখ্যা ৩২৬। ফসল ওইসব বাজারে নিয়ে যেতে কৃষকদের গড়ে ২৫ কিমি যেতে হয়। 
কোনও সংশয় নেই যে এপিএমসি আইন কৃষিপণ্যের অবাধ কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বাজার চত্বর কৃষকদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় এই ধরনের মার্কেট থেকে সংগৃহীত ফি দ্বারা রাজ্যের সরকারি কোষাগার বিশেষভাবে লাভবান হয়। সংশ্লিষ্ট সরকারও ওই টাকা খরচ করে কৃষি
এবং গ্রামীণ পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য। তৎসত্ত্বেও আমি মনে করি যে সময় হলে এপিএমসি আইন অবশ্যই অবাধ বাণিজ্যের পক্ষে সুফলদায়ক হবে। এজন্য অবশ্য বাজারের সংখ্যা অনেক গুণ বাড়াতে হবে এবং সেগুলোকে সব কৃষকের জন্য সুবিধাজনক করে গড়ে তুলেত হবে।   


কংগ্রেসের ইস্তাহার বনাম বিজেপির বিল
২০১৯ সালে কংগ্রেসের ইস্তাহারে এটাই ছিল প্রতিশ্রুতি। কংগ্রেসের ইস্তাহার ‘ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানিগুলোকে/সংগঠনগুলোকে প্রমোট করার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কেন? ‘তথ্যাদি,  প্রযুক্তি এবং বাজারকে নাগালে পাওয়ার মতো কৃষকদের উপযুক্ত করে তোলার জন্য’। আরও উদ্দেশ্য ছিল—‘উপযুক্ত পরিকাঠামো সমেত ফার্মার্স মার্কেট তৈরি করা। বড় গ্রাম এবং ছোট শহরগুলোকে এমনভাবে সাপোর্ট দেওয়া হবে যে কৃষকরা সহজেই তাঁদের ফসল বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন এবং অবাধে বেচাকেনা সেরে ফেলবেন।’ দেশজুড়ে এই ধরনের হাজার হাজার বাজার নির্মাণ করাই ছিল কংগ্রেসের ওই প্রতিশ্রুতির নির্যাস। এই ধরনের বাজার তৈরি করতে পারবে রাজ্য সরকার নিজেই, অথবা স্থানীয় পঞ্চায়েত, সমবায় সমিতি কিংবা লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনও বেসরকারি উদ্যোগী। এই বাজারগুলোতে হালকা নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং প্রতিটা লেনদেন এই শর্তে সম্পন্ন হবে যে, কোনও ক্ষেত্রেই এমএসপি-র কম দাম গ্রাহ্য হবে না। তখন এপিএমসি আইন বাতিল করার প্রস্তাবটা হয়ে উঠত—কৃষকদের নাগালের ভিতরে কয়েক গুণ বাজার তৈরির একটা স্বাভাবিক পরিণতি। 
উল্টো দিকে, মোদি সরকার কী করল? তারা এমএসপির নিরাপত্তাটিকে দুর্বল করে দিল এবং শস্য সংগ্রহের সরকারি ব্যবস্থাটিকে হালকা করে ফেলল। কৃষকরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। কারণ, তাঁরা ভয় পাচ্ছেন যে এমএসপি ব্যবস্থাটিকেই তুলে দেওয়া হবে না তো? রাজ্য সরকারগুলির আতঙ্ক হল—খাদ্যশস্যের সরকারি সংগ্রহ এবং গণবণ্টন ব্যবস্থা (রেশন) ধ্বংস হয়ে যাবে। খাদ্য নিরাপত্তার তিনটি পিলারের গোড়া একবার যদি নড়বড়ে করে দেওয়া হয়, তবে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন, ২০১৩-র মাধ্যমে যে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়া হয়েছে, সেটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে।
মোদি সরকারের আইন হাজার হাজার বিকল্প বাজার সৃষ্টি করছে না। তার পরিবর্তে বরং তারা চুক্তি চাষের অনুমতি দেবে। কর্পোরেটদের জন্য, এবং পরিশেষে, কার্টেলদের (দাম নিয়ন্ত্রণে দক্ষ বড় ব্যবসায়ীদের জোট) জন্যও দরজা হাট-আলগা করে দেবে। এই ধরনের পরাক্রমশালী ক্রেতাদের বিরুদ্ধে ছোট/মাঝারি কৃষকদের দর কষাকষির অথবা চুক্তি সম্পাদনের সমান ক্ষমতা থাকবে না। নতুন আইনে বিতর্ক-বিবাদ মীমাংসার ব্যবস্থাটিও এমন জটিল যে কৃষকরা একেবারে শেষ হয়ে যাবেন।

আরও একটি ফাঁকা আওয়াজ
কৃষিমন্ত্রী সংসদকে বলেছেন যে এমএসপি নিয়ে নতুন আইনের কোনও কিছুই করার নেই। সেটা আক্ষরিক অর্থেই সত্যি! তবুও, তিনি বলেছেন যে সরকার কৃষকদের এমএসপির ‘গ্যারান্টি’ বা নিশ্চয়তা দেবে। এটি একটি উদ্ভট প্রতিশ্রুতি। সরকার কীভাবে জানবে—কোন কৃষক, কোন ফসল কোন ক্রেতাকে বিক্রি করল? যদি এমএসপি বাধ্যতামূলক রাখাই সরকারের উদ্দেশ্য, তবে কেন এই সংক্রান্ত বিলে সেইমতো একটি ধারা (ক্লজ) রাখা হল না—কৃষককে ক্রেতা যে দাম মেটাবেন, সেটি ‘সরকারের তরফে নির্দিষ্ট করে দেওয়া এমএসপির কম হবে না’?
নোট বাতিল ছিল একটি বিপর্যয়। ২০১৭-১৮ থেকে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অব্যবস্থা ছিল তারই ধারাবাহিক পরিণাম। তেমনি আইনে পরিণত হওয়ার পথে কৃষি বিল দু’টিও ভারতীয় কৃষক শ্রেণীকে এবং কৃষি অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেবে। তারা রাজ্যগুলির অধিকার এবং ফেডারালিজমের উপরেও আঘাত হানল। আপাতভাবে, মোদি সরকার বিশ্বাস করে যে সে সব মানুষকে সব সময়ের জন্য বোকা বানাতে ওস্তাদ।
 লেখক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
28th  September, 2020
জয় করে তবু ভয় কেন তাঁর যায় না
সন্দীপন বিশ্বাস

মোদিজির ভোটশক্তির আসল কাঠামো মূলত মধ্যবিত্ত হিন্দু ভোটারদের সমর্থন। বিজেপি-আরএসএস এদেশে হিন্দুত্বের একটা সিন্ডিকেট গড়ে বিভেদের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাকে একচেটিয়া করে তুলতে চেয়েছিল। এই সিন্ডিকেটের সবথেকে বড় শক্তি মধ্যবিত্তই। আজ সেই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর সবথেকে বড় আঘাত পড়েছে। বিশদ

শাসনতন্ত্রের বেসামাল
নৌকায় সওয়ার দেশ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 পিতৃতন্ত্র আর শাসনতন্ত্র একটা জায়গায় এসে মিলেমিশে এক হয়ে যায়। দুই ক্ষেত্রেই চাপিয়ে দেওয়ার কারবার। আধিপত্য কায়েম করা। এনসিবি এখন বলিউডের মাদক কারবারের অন্দরে ঢুকতে চাইছে। অথচ ছবি যা দেখা যাচ্ছে, তাতে কোনও পুরুষ নেই। ব্যাপারটা এমন, অভিনেতারা সব ধোয়া তুলসী পাতা, মাদক সেবনের কারবারটা সম্পূর্ণই অভিনেত্রীদের। বিশদ

29th  September, 2020
কৃষক, শ্রমিকের সঙ্গে বিপন্ন গণতন্ত্রও
হিমাংশু সিংহ

 রাজ্যের হাত থেকে কৃষির অধিকার প্রায় সবটাই চলে যাচ্ছে কেন্দ্রের জিম্মায়। একে একে রাজ্যের সব অধিকারই প্রায় কেড়ে নিচ্ছে কেন্দ্র। জিএসটি সেই দিক দিয়ে ছিল এক বড় আঘাত। বাকি ছিল যৌথ তালিকায় থাকা কৃষিক্ষেত্র। এবার তাও যাচ্ছে। যার ফলে বিপন্ন হতে বাধ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তি।
বিশদ

27th  September, 2020
সদিচ্ছায় জটিল সমস্যাও
হয় জলবৎ তরলং
তন্ময় মল্লিক

জঙ্গি এখন রাজনীতির মস্ত বড় ইস্যু। রাজনীতির কারবারিরা ঘোলা জলে মাছ ধরার জন্য রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, জঙ্গি গ্রেপ্তারের ঘটনাকে সামনে রেখে চলছে মেরুকরণের জোরদার চেষ্টা।
বিশদ

26th  September, 2020
বিধবাবিবাহ আইন ও বিদ্যাসাগর
তরুণকান্তি নস্কর

 বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মের দ্বিশতবর্ষের প্রারম্ভে গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁর শিক্ষাচিন্তার উপর এই লেখকের একটি উত্তর-সম্পাদকীয় প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। দ্বিশতজন্মবার্ষিকীর সমাপ্তিতে তাঁর জীবন সংগ্রামের অন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনার জন্য এই প্রয়াস।
বিশদ

26th  September, 2020
ইতিহাস কি আবার
তালিবানের পক্ষে?
মৃণালকান্তি দাস

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আফগান শান্তি আলোচনায় একধাপ এগনো দরকার। যা ট্রাম্পকে নির্বাচনী যুদ্ধের প্রচারে এগিয়ে রাখবে। ট্রাম্প দেখাতে চাইছেন, দেশকে ১৯ বছরের যুদ্ধ থেকে মুক্তি দিচ্ছেন তিনি। এর জন্য ওই অঞ্চলের সব খেলোয়াড়কে তারা ‘শান্তি প্রক্রিয়া’য় শামিল করতে চায়। বিশদ

25th  September, 2020
করোনাকে মওকা ধরেই তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো
হারাধন চৌধুরী

জঙ্গিরা মনে করে, আমেরিকা, ভারত এবং আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু দেশে হামলা করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। এই সময় আঘাত হানতে পারলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা যাবে। কারণ, এই দেশগুলোর সরকার, এবং আর্মিও করোনা মোকাবিলা নিয়ে এখন ব্যতিব্যস্ত। বিশদ

24th  September, 2020
স্বাবলম্বী শরীর কোভিড রুখতে সক্ষম
মৃন্ময় চন্দ 

সারা পৃথিবী আশঙ্কিত। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎই এক স্বেচ্ছাসেবক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গোটা পৃথিবীর বিশ্বাস অক্সফোর্ডের ‘কোভিশিল্ডেই’ মিলবে করোনার হাত থেকে নিষ্কৃতি।  
বিশদ

23rd  September, 2020
বারবার তাঁর হাতে দেখি মৃত্যুর পরোয়ানা 
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের স্কুলের এক শিক্ষক বলতেন, যে একবার ভুল করে, সে অজ্ঞতা থেকে করে। তিনবার পর্যন্ত ভুল অজ্ঞতা থেকে হতে পারে। কিন্তু কেউ যদি বারবার ভুল করতে থাকে, তবে বুঝতে হবে, সে ইচ্ছে করেই ভুল করছে এবং তার পিছনে কোনও দুরভিসন্ধি আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মোদিমশাইয়ের বারবার ভুল করা দেখে সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেল। 
বিশদ

23rd  September, 2020
কৃষি সংস্কার: দেখনদারির
মোড়কে আশঙ্কার মেঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভূতনাথ পাল। কেতুগ্রামের বিল্বেশ্বর এলাকায় বাড়ি ছিল তাঁর। অনেক কষ্টে ধারদেনায় ডুবে আলুচাষ করেছিলেন। ভেবেছিলেন, এখন আলুর বাজারটা ভালো যাচ্ছে। ক’টা দিন তো কষ্ট... তারপরই সুদিন আসবে। সুদিন মানে, দু’বেলা দু’মুঠো...। 
বিশদ

22nd  September, 2020
এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর
দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
জয়ন্ত কুশারী
 

এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
‘মা বুঝি চইলাছে কোয়ারেন্টিনে...’ বরেণ্য লোকগীতি শিল্পী অমর পাল জীবিত থাকলে বুঝি এমনটাই গাইতেন। যদিও তিনি গেয়েছিলেন, ‘মা বুঝি কৈলাসে চইলাছে...’ 
মহালয়া থেকে সপ্তমী, দিন পঁয়ত্রিশের এই ব্যবধান পাল্টে দিল এমন একটি গানের লাইন। আসলে মানুষের মুখে মুখে এখন যে ফিরছে এই কথাটি। 
বিশদ

21st  September, 2020
কেন্দ্রের কথার খেলাপ, রাজ্যগুলোর অর্থাভাব
পি চিদম্বরম

কর ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) একটা ভয়ানক লড়াই হয়ে উঠেছে। যে অর্থনীতিতে পূর্বাহ্নেই দ্রুত পতনের সূচনা হয়েছিল, সেটা যখন মহামারীতে আরও বিধ্বস্ত হল তখন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিরাট বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। 
বিশদ

21st  September, 2020
একনজরে
তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল বালি এলাকার বিজেপি মণ্ডল সভাপতি রাধারঞ্জন ওরফে রাজা গোস্বামীকে। তাঁর দলেরই যুব মোর্চার নেতা বলে পরিচিত সৌরভ পালের অভিযোগের ভিত্তিতে ...

  একটি দেশের সদিচ্ছা এবং সহযোগিতার অভাবে ২০০-এ মুম্বইয়ে এবং ২০১৬-তে পাঠানকোটে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা এখনও ন্যায়বিচার পাননি। পাকিস্তানের নাম না করে এভাবেই ইমরান প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছে ভারত। ...

সংবাদদাতা, কান্দি: মঙ্গলবার দুপুরে কান্দি পুরসভার বাঁধাপুকুর থেকে এক প্রৌঢ়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম শান্তিরানি প্রধান(৫০)। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস।   ...

লিভারপুল: প্রিমিয়ার লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক লিভারপুলের। সোমবার অ্যানফিল্ডে ছন্দে থাকা আর্সেনালের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল জুরগেন ক্লপের দল। ম্যাচে লিভারপুলের হয়ে স্কোরশিটে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অনুবাদ দিবস
১৯১৯: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা ঐতিহাসিক শিবনাথ শাস্ত্রীর মৃত্যু
১৮২৮ - ভারতীয় যোগী ও গুরু যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী বা লাহিড়ী মহাশয়ের জন্ম
১৮৬০: ব্রিটেনে প্রথম ট্রাম চালু হয়
১৮৬৪ - ব্রিটিশ ভারতীয় দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের মহারাণী সুনীতি দেবীর জন্ম
১৮৭৫: শিক্ষাবিদ প্যারীচরণ সরকারের মৃত্যু
১৯২২: পরিচালক হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৮: পেনিসিলিনের আবিষ্কারের কথা প্রথম ঘোষিত হয়
১৯২৯: বিবিসি প্রথম পরীক্ষামূলক টিভি সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩: নাট্যকার ও অভিনেতা অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৯: ব্রিটেনে পরিচয়পত্র প্রথা চালু হয়।
১৯৬২: অভিনেতা প্রসেনজিতের জন্ম
১৯৭২: গায়ক শান-এর জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৪ টাকা ৭৪.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯৩.২২ টাকা ৯৬.৫২ টাকা
ইউরো ৮৪.৫৭ টাকা ৮৭.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১, ১৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮, ৫২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯, ২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০, ৮৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬০, ৯৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ আশ্বিন ১৪২৭, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, চতুর্দশী ৪৭/৪৮ রাত্রি ১২/২৬। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৫৪/১৯ রাত্রি ৩/১৫। সূর্যোদয় ৫/৩১/২১, সূর্যাস্ত ৫/২২/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৬ গতে ৭/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১৮ গতে ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/২৭ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৪/০ মধ্যে।
১৩ আশ্বিন ১৪২৭, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, চর্তুদশী রাত্রি ১১/৫১। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৩/৪৮। সূর্যোদয় ৫/৩১, সূর্যাস্ত ৫/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৭/৫৪ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১ গতে ৬/৫১ মধ্যে ও ৮/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/২১ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/২৮ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৪/০ মধ্যে।
১২ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি  
মেষ: ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সাবধান। বৃষ: কোনও সম্পদ লাভে আনন্দিত ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
আন্তর্জাতিক অনুবাদ দিবস১৯১৯: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা ঐতিহাসিক শিবনাথ শাস্ত্রীর ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৭ রানে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স

11:29:24 PM

আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস ৯০/৮ (১৫ ওভার) 

11:04:31 PM

আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস ৬১/৫ (১০ ওভার) 

10:41:22 PM

আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস ৩৬/২ (৫ ওভার) 

10:12:30 PM