কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
দেশজুড়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। অনলাইনের পাশাপাশি চেক সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগও যথেষ্ট। বেশিরভাগই বড় অঙ্কের চেক। তাই চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি অঙ্কের লেনদেনে সুরক্ষাবিধি বাড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। নির্দিষ্ট পদ্ধতি স্থির করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরবিআইয়ের আওতায় থাকা ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এনসিপিআই)। প্রাথমিকভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, মোবাইল অ্যাপ, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে তথ্য দেওয়া যেতে পারে। তবে অনভ্যস্তদের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে বা এটিএমে গিয়ে তা জানানোর ব্যবস্থা থাকবে। মোট কথা, গ্রাহক যাতে নির্ঝঞ্ঝাটে কাজটি করতে পারেন, তা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। সেই মতো ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
আরবিআইয়ের দাবি, চেকে লেখা এবং গ্রাহকের পাঠানো তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। তারপরই তা ‘ক্লিয়ারেন্স’-এর জন্য পাঠাবে ব্যাঙ্ক। গ্রাহক নিজে চেক জমা দিচ্ছেন, নাকি কেউ তাঁর নাম করে জালিয়াতি করছেন— এই পদ্ধতিতে তা জানা সহজ হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, গোটা দেশে ইস্যু হওয়া চেকের ৮০ শতাংশই ৫০ হাজার বা তার উপরের। এই তথ্য থেকেই স্পষ্ট, নতুন নিয়মে গ্রাহকদের বৃহত্তম অংশকে জালিয়াতির থেকে সুরক্ষিত রাখা যাবে।
যদিও প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি অঙ্কের চেকের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম বাধ্যতামূলক করতে চায় না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু কেউ চাইলেই যাতে এই সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, ১ জানুয়ারির মধ্যে তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে ব্যাঙ্কগুলিকে। চেক বই থাকা সব গ্রাহককেই এই সুযোগ পাবেন। তবে পাঁচ লক্ষ ও তার বেশি টাকার ক্ষেত্রে নিয়মটি বাধ্যতামূলক করার দিকে এগচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আগামী ক’মাসে এব্যাপারে গ্রাহকদের যাতে সচেতন করতে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্কগুলিকে।