কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত ১৭ আগস্ট মেলামাঠে নির্মাণকাজের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় জনতা। মেলামাঠে বিশ্বভারতীর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়া হয়। এছাড়া বেসরকারি লজের দিকে থাকা ঐতিহ্যবাহী গেটও ভাঙচুর করা হয়। সেসময় অবশ্য পুলিসের ব্যবস্থা ছিল না বলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে। সেই ঘটনার পর কলকাতা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করে চারজনের একটি কমিটি গঠন করে দেয়। এমনকী, সেই কমিটির নির্দেশেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ গত সোমবার থেকে ফের মেলামাঠে ফেন্সিং দেওয়ার কাজ শুরু করে। বোলপুরের ব্যবসায়ী সমিতি অবশ্য ইতিমধ্যে হাইকোর্টে আবেদন করেছে। তার সঙ্গে মাঠ বাঁচাও কমিটিও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়।
ঘোষণামতোই এদিন বোলপুরের ফায়ার ব্রিগেড অফিসের কাছে মাঠ বাঁচাও কমিটি বাউল গান, কবিতা, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নাচের মাধ্যমে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারীরা মুখে কালো কাপড়ও বাঁধেন। এদিন প্রায় একঘণ্টা পর মেলামাঠ বাঁচাও কমিটির তরফে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
বিক্ষোভ ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি না হয় সেজন্য পুলিসের ব্যবস্থাও ছিল নজরকাড়া। মেলামাঠে আগেই সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। তার সঙ্গে এদিন বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরাও মেলামাঠে ছিলেন। এছাড়া পদস্থ কর্তাদের নেতৃত্বে বিশাল পুলিসবাহিনী বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়। তার সঙ্গে জলকামান, ড্রোন ক্যামেরার ব্যবস্থাও রাখা হয়। যদিও সেসবের কোনও প্রয়োজন হয়নি। এদিন শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন হয়। বিক্ষোভের জেরে মেলামাঠে ফেন্সিং দেওয়ার ঘটনায় বিশ্বভারতীতে এখনও জটিলতা লেগেই থাকল। মেলামাঠের ধার বরাবর এদিন ঘেরা দেওয়ার কাজ হতেও দেখা গিয়েছে। আপাতত সেখানে গর্ত খোঁড়ার কাজই চলছে। জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সঙ্গেই এই কাজ করতে চায়। কোনও অশান্তি যাতে না হয় সেজন্য সোমবার সন্ধ্যাতেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জেলা পুলিস, প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়ে রাখে।
বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ সুব্রত ভকত বলেন, আমরা এদিন শান্তিপূর্ণভাবে রাবীন্দ্রিক কায়দায় অবস্থান বিক্ষোভ করেছি। আগামী দিনে ফের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করা হবে। হাইকোর্ট গঠিত কমিটির কাছে আপত্তি জানানোর পরও মেলামাঠে ফেন্সিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাঠ ঘেরার প্রতিবাদে স্থগিতাদেশ জারির জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এদিন অবশ্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত এদিন প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন, হাইকোর্ট মনোনীত কমিটির দুই সদস্য সাম্প্রতিককাল পর্যন্ত বিশ্বভারতীর কয়েকটি কমিটিতে সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট মনোনীত কমিটির এই সদস্যদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন এড়ানো যায় না।