কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
তবে এই গ্রেপ্তারি নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ঘটনাটিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে দলের মণ্ডল সভাপতির পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা। অন্যদিকে তোলাবাজির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস আইন মেনেই যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার নিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। মঙ্গলবার সকালে থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ধৃত বিজেপি নেতা বলেন, সারা রাজ্যেই বিজেপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগকারী বিজেপি কর্মীকে তৃণমূল টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে। অভিযোগের পক্ষে সামান্য কোনও প্রমাণ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত আগস্ট মাসে। বালির গোস্বামীপাড়ায় নিজের বাড়ি তৈরি করতে উদ্যোগ নিচ্ছিলেন সৌরভবাবু। বাড়ি তৈরি করার আগে রাজা গোস্বামীকে ১০ লক্ষ টাকা না দিলে তাঁকে আর বিজেপি করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয় বলে সৌরভবাবুর অভিযোগ। এরপর আগস্টের ২০ তারিখ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মারধর করে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রাজা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে করেন তিনি। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এবং কাউকে বেআইনিভাবে কোনও টাকা না দিয়ে বাড়ি তৈরি করার জন্য সৌরভবাবু রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায়ের দ্বারস্থ হন। মন্ত্রী তাঁকে আইনি পথে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, সৌরভবাবু যাতে নিরাপদে এবং নির্ভয়ে বাড়ি তৈরি করতে পারেন, সেজন্য প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তখন বিজেপির জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেছিলেন, অভিযোগের সত্যতা থাকলে মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। তবে তিনি এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিলেন। এদিন দলের মণ্ডল সভাপতির গ্রেপ্তারির পর সুরজিৎবাবু ষড়যন্ত্রের তত্ত্বকেই সামনে এনেছেন। বলেছেন, দল সম্পূর্ণভাবে ওই মণ্ডল সভাপতির পাশেই রয়েছে। তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। পাশাপাশি, একটি ইউনিয়ন অফিসে বেআইনিভাবে বিজেপির পতাকা লাগানোর জন্য সৌরভবাবুর বিরুদ্ধেও দলের তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান সুরজিৎবাবু।
এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে বালিতে বেশ হইচই শুরু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। কয়েকদিন আগে নিজেকে তৃণমূলের বড় নেতা বলে দাবি করা এক ব্যক্তিকে পুলিস তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে এই বালি এলাকা থেকেই। তাঁর সঙ্গে দলের সংযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের নেতারা। তবে এই ধরনের একের পর এক ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।