Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জয় করে তবু ভয় কেন তাঁর যায় না
সন্দীপন বিশ্বাস

রাজ্যে রাজ্যে কৃষক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে ঝড়ের বেগে। দিনে দিনে তা আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে। পৌঁছে যাবে দেশের কোণে কোণে। চাষির জীবন ও জীবিকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চাইলে তাঁরা যে ছেড়ে কথা বলবেন না, সেটা ম্যাচের প্রথম ওভার থেকেই তাঁরা বুঝিয়ে দিতে শুরু করেছেন। রাতের বেলায় রাষ্ট্রপতি সই করলেন বিলে, সকাল থেকে আন্দোলনে অস্থির হয়ে উঠল দেশ। চাষিদের ‘ভালো’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একতরফাভাবে যে কৃষি আইন মোদি সরকার আনতে চাইছে, তা একপ্রকার গা-জোয়ারি ছাড়া আর কিছুই নয়। যাঁদের ‘ভালো’র জন্য মোদিজির এই দরদ, সেই চাষিদের সঙ্গে কথাই বলা হয়নি। জোটের শরিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলা হয়নি। বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হয়নি। তাহলে অর্থ কী দাঁড়াল? এর অর্থ হল, আমি যা বলব, সারা দেশের মানুষকে তা মাথা পেতে মেনে নিতে হবে। এই একনায়কতান্ত্রিক অহমিকাই পতনের অতল খাদ সৃষ্টি করে। এটা ইতিহাসস্বীকৃত। এই কৃষিবিল কোনওভাবেই যে চাষিদের ভালো করতে পারে না, তা সারাদেশের মানুষ বুঝতে পারছেন, আর মোদিজি বুঝতে পারছেন না, এটা ভাবাটাই বোকামি। বুঝেও তাঁকে আনতে হচ্ছে এই স্বার্থগন্ধী বিল। তবে এই কৃষি আইন আগামীদিনে কার্যকর করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। সংশোধনী এনে তাঁকে পিছু হটতেই হবে। নাহলে কিন্তু কৃষকদের জোটবদ্ধ আন্দোলনে তাঁর সরকার টালমাটাল হয়ে যাবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের থেকে সারা দেশের জোটবদ্ধ কৃষকের শক্তি যে অনেক বেশি, সেটা কি সত্যিই মোদিজি বোঝেন না? নাকি শক্তির অহমিকা তাঁকে যা ইচ্ছে তাই করতে বাধ্য করছে?
যদি তিনি কৃষকদের শক্তিকে উপেক্ষা করার চেষ্টা করেন, তবে তাঁর পড়ে নেওয়া উচিত হবে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের আন্দোলনের ইতিহাস। চাষির জমি কেড়ে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শিল্প গড়ার দম্ভ প্রকাশ করতে গিয়ে পতন হয়েছিল ৩৪ বছরের শক্তপোক্ত বাম শাসনের। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই ইতিহাস তৈরি করেছিল। সেই দেওয়াল লিখনটুকু না পড়ে একই রকমভাবে শাসকের দম্ভ প্রকাশ পেলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। আজ মোদির কৃষিবিল সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামেরই এক বৃহৎ প্রেক্ষিত সৃষ্টি করতে চলেছে। এই বাংলায় নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কাহিনি সকলেরই জানা। জোর করে কৃষকদের নীলচাষে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষকরা আন্দোলনে সংগঠিত হয়েছিলেন, তারই ইতিহাস ’নীলদর্পণ’। আজ মোদিজির এই কৃষিবিল চাষিকে তাঁর নিজের জমিতেই বড় বড় কর্পোরেট সংস্থার ভূমিদাসে পরিণত করতে চাইছে। নিজের জমিতেই চাষিকে করতে চাইছে ক্রীতদাস। মোদিজির এই বিল অনেকটাই আধুনিক নীলকর সাহেবের মতো। সারাদেশে চাষিদের এই আন্দোলন আরও একটি ‘নীলদর্পণ’ রচনার প্রেক্ষাপট তৈরি করে দিচ্ছে।
এমনিতেই এনডিএ জোটের পলেস্তরা একে একে খসে পড়ছে। ডিসটেম্পার করা জোটশক্তির রং চটে বেরিয়ে পড়ছে এনডিএতে বিজেপির দাদাগিরির ছবি। মোদিজির কৃষিনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে জোট ত্যাগ করে বেরিয়ে গিয়েছে এনডিএ’র সব থেকে পুরনো সঙ্গী শিরোমণি অকালি দল। এনডিএ’র প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে ছিলেন পদত্যাগ করা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কাউরের শ্বশুর তথা দলের বর্তমান সভাপতি সুখবীর সিং বাদলের বাবা প্রকাশ সিং বাদল। জোটত্যাগের পর সুখবীর বলেছেন, সরকারের আমলে কোনওদিনই এনডিএ’র বৈঠক হয়নি। অর্থাৎ জোটে ছোট শরিকদলকে কোনও পাত্তাই দেওয়া হতো না। মর্যাদাই ছিল না জোটসঙ্গীদের। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি প্রমাদ গোনে আবার শিবসেনার মানভঞ্জন করতে নেমে পড়েছে। মহারাষ্ট্রে তাদের নতুন গোপন খেলা শুরু করেছে। অর্থ ঢেলে মহারাষ্ট্র সরকার ভাঙার চেষ্টা করেও বিজেপি ব্যর্থ হয়েছিল। এখন তাই শিবসেনার সঙ্গে প্রেম প্রেম খেলা শুরু করেছে। তাকে কাছে টানার চেষ্টা করছে। লক্ষ্য হল, এতে কংগ্রেস এবং শারদ পাওয়ারের এনসিপি সরে গেলে বিজেপি তাদের সমর্থন দিয়ে সরকার টিকিয়ে রাখবে এবং কেন্দ্রে শিবসেনাকে শরিক হিসেবেও পাওয়া যাবে। এক ঢিলে দুই পাখি মারার কৌশল নিয়ে বিজেপি এগচ্ছে।
পরিস্থিতি এখন মোটেই বিজেপির পক্ষে অনুকূল নয়। দিন দিন পরিস্থিতি মোদিজির পক্ষে সত্যিই বিড়ম্বনাময় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অভ্যন্তরীণ এই বিপাক দশার পাশাপাশি একের পর এক ঘোটালা সামনে এসে সরকারকে বেআব্রু করে দিচ্ছে। আর আটকানো যাচ্ছে না। ক্যাগ রিপোর্ট দিয়েছে, রাজ্যগুলির প্রাপ্য জিএসটির ৪৭ হাজার কোটি টাকা বেআইনিভাবে সরিয়েছে মোদি সরকার। আর্থিক ঘাটতি কম দেখাতেই এই চালাকি করা হয়েছে। কেন সেই টাকা সরানো হল কেন্দ্রীয় তহবিলে, এসব দেশের মানুষ জানতে চায়। কেননা টাকাটা দেশের মানুষের। সেটা নিয়ে ঘোটালার অধিকার কোনও শাসকেরই নেই। ঠিক এই কারণেই পিএম কেয়ার্স ফান্ডকে ক্যাগের পরীক্ষার বাইরে রাখা হয়েছে। সেখানে কোনও ঘোটালা যাতে কেউ কোনওদিন ধরতে না পারে। এসব নিয়ে মোদিজি মুখ খোলেন না। মানুষের প্রশ্ন এড়িয়ে যান। মন কি বাতে আগড়ুম বাগড়ুম অবান্তর প্রসঙ্গে বকে যান।
অন্য রাজ্যের মতো এরাজ্যেও কৃষিবিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। মোদির অপশাসন দিনের পর দিন যেভাবে মানুষের ক্ষোভের আঁচে ঘৃতাহুতি দিচ্ছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে এই অসন্তোষ দাবানলের আকার নিতে পারে। কৃষিবিল নিয়ে সত্যিই দেশ যদি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে, তার জন্য দায়ী থাকবে মোদি সরকার নিজেই। এত বড় সংখ্যায় জয় পেয়ে তিনি মানুষের পরিবর্তে বৃহৎ শিল্পপতিদের স্বার্থে কাজ শুরু করছেন বলে যেসব অভিযোগ উঠছে, তা যে ভুল সেটা তাঁকে কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। তাঁর একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত মানুষকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করছে যে, এই সরকার যে গরিব মানুষের স্বার্থে কাজ করে না। এই বিশ্বাস যত বাড়বে, ততই দেশে আন্দোলন আরও বড় আকার ধারণ করবে। এই আন্দোলনের আবহে নির্বাচন হতে চলেছে বিহারে। আগামী বছরে ভোট হবে এরাজ্যে। মানুষের বিশ্বাসকে মর্যাদা না দিলে কিংবা তার বেঁচে থাকার পথটাকে বেহাল করে দিলে, গণতন্ত্রে মানুষের প্রতিবাদের জায়গা একটাই। ভোটবাক্স। সেখানে সে জবাব দেবেই।
যে আত্মবিশ্বাস আর শক্তি নিয়ে একদিন মোদি ক্ষমতায় বসেছিলেন, আজ তার অনেকটাই খসে পড়েছে। শিবসেনা সরে গিয়েছে, শিরোমণি অকালি দল সরে গেল। বাকি রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি। সেও খসে পড়ার অপেক্ষায়। ভিতরের এই ভাঙনে বিজেপি ভয় পেতে শুরু করেছে। শুধু ভিতরে নয়, ভাঙন ধরেছে বাইরেও। বিজেপির স্ট্র্যাটেজি ছিল, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ভোটকে এককাট্টা করে বাজিমাত করা। কেননা মোদিজির ভোটশক্তির আসল কাঠামো মূলত মধ্যবিত্ত হিন্দু ভোটারদের সমর্থন। বিজেপি-আরএসএস এদেশে হিন্দুত্বের একটা সিন্ডিকেট গড়ে বিভেদের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাকে একচেটিয়া করে তুলতে চেয়েছিল। এই সিন্ডিকেটের সবথেকে বড় শক্তি মধ্যবিত্তই। আজ সেই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর সবথেকে বড় আঘাত পড়েছে। নতুন চাকরির নিশ্চয়তা তো দূরস্থান। লক্ষ লক্ষ মধ্যবিত্ত আজ চাকরি হারিয়ে দুর্দশার মধ্যে রয়েছে। এই কৃষিবিল শুধু কৃষকদেরই সর্বনাশ ডেকে আনবে না। এই কৃষিবিল দেশের প্রতিটি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে তুলবে। যে বিশ্বাস নিয়ে মানুষ ইভিএমে মোদিজির প্রতি সব আস্থাটুকু ঢেলে দিয়েছিল, এই সরকার তার মর্যাদা রাখতে যে অক্ষম, সেটা প্রমাণিত হয়েছে। সেই মধ্যবিত্ত হিন্দু ভোটে বিরাট ভাঙন ধরেছে। তার প্রমাণ দিয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড।
সামনে আরও বিধানসভার ভোট। সংসদে বিরাট জয় সত্ত্বেও আজ সরকারকে ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতে হচ্ছে। মুখে যতই সাহসী বার্তা দিক না কেন, নৈতিকভাবে মোদি সরকার আজ ভীত। এত বিরাট সংখ্যক এমপি নিয়ে সংসদ আলো করে বসে থাকলেও ভিতরে ভিতরে সে ভয়ের কাঁটায় বিদ্ধ। কবিগুরুর গানটা মনে পড়ে গেল। ‘জয় করে তবু ভয় কেন তোর যায় না?’ প্রশ্নের উত্তরটাও সোজা। সেটা মাইকেলের ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’ থেকে দেওয়া যেতে পারে। ‘নিজ কর্মদোষে, হায়, মজাইলা / এ কনক-লঙ্কা রাজা মজিলা আপনি।’
শাসনতন্ত্রের বেসামাল
নৌকায় সওয়ার দেশ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 পিতৃতন্ত্র আর শাসনতন্ত্র একটা জায়গায় এসে মিলেমিশে এক হয়ে যায়। দুই ক্ষেত্রেই চাপিয়ে দেওয়ার কারবার। আধিপত্য কায়েম করা। এনসিবি এখন বলিউডের মাদক কারবারের অন্দরে ঢুকতে চাইছে। অথচ ছবি যা দেখা যাচ্ছে, তাতে কোনও পুরুষ নেই। ব্যাপারটা এমন, অভিনেতারা সব ধোয়া তুলসী পাতা, মাদক সেবনের কারবারটা সম্পূর্ণই অভিনেত্রীদের। বিশদ

29th  September, 2020
সব মানুষকে সব সময়
বোকা বানানো হচ্ছে
পি চিদম্বরম

 নোট বাতিল ছিল একটি বিপর্যয়। ২০১৭-১৮ থেকে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অব্যবস্থা ছিল তারই ধারাবাহিক পরিণাম। তেমনি আইনে পরিণত হওয়ার পথে কৃষি বিল দু’টিও ভারতীয় কৃষক শ্রেণীকে এবং কৃষি অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেবে। তারা রাজ্যগুলির অধিকার এবং ফেডারালিজমের উপরেও আঘাত হানল।
বিশদ

28th  September, 2020
কৃষক, শ্রমিকের সঙ্গে বিপন্ন গণতন্ত্রও
হিমাংশু সিংহ

 রাজ্যের হাত থেকে কৃষির অধিকার প্রায় সবটাই চলে যাচ্ছে কেন্দ্রের জিম্মায়। একে একে রাজ্যের সব অধিকারই প্রায় কেড়ে নিচ্ছে কেন্দ্র। জিএসটি সেই দিক দিয়ে ছিল এক বড় আঘাত। বাকি ছিল যৌথ তালিকায় থাকা কৃষিক্ষেত্র। এবার তাও যাচ্ছে। যার ফলে বিপন্ন হতে বাধ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তি।
বিশদ

27th  September, 2020
সদিচ্ছায় জটিল সমস্যাও
হয় জলবৎ তরলং
তন্ময় মল্লিক

জঙ্গি এখন রাজনীতির মস্ত বড় ইস্যু। রাজনীতির কারবারিরা ঘোলা জলে মাছ ধরার জন্য রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, জঙ্গি গ্রেপ্তারের ঘটনাকে সামনে রেখে চলছে মেরুকরণের জোরদার চেষ্টা।
বিশদ

26th  September, 2020
বিধবাবিবাহ আইন ও বিদ্যাসাগর
তরুণকান্তি নস্কর

 বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মের দ্বিশতবর্ষের প্রারম্ভে গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁর শিক্ষাচিন্তার উপর এই লেখকের একটি উত্তর-সম্পাদকীয় প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। দ্বিশতজন্মবার্ষিকীর সমাপ্তিতে তাঁর জীবন সংগ্রামের অন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনার জন্য এই প্রয়াস।
বিশদ

26th  September, 2020
ইতিহাস কি আবার
তালিবানের পক্ষে?
মৃণালকান্তি দাস

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আফগান শান্তি আলোচনায় একধাপ এগনো দরকার। যা ট্রাম্পকে নির্বাচনী যুদ্ধের প্রচারে এগিয়ে রাখবে। ট্রাম্প দেখাতে চাইছেন, দেশকে ১৯ বছরের যুদ্ধ থেকে মুক্তি দিচ্ছেন তিনি। এর জন্য ওই অঞ্চলের সব খেলোয়াড়কে তারা ‘শান্তি প্রক্রিয়া’য় শামিল করতে চায়। বিশদ

25th  September, 2020
করোনাকে মওকা ধরেই তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো
হারাধন চৌধুরী

জঙ্গিরা মনে করে, আমেরিকা, ভারত এবং আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু দেশে হামলা করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। এই সময় আঘাত হানতে পারলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা যাবে। কারণ, এই দেশগুলোর সরকার, এবং আর্মিও করোনা মোকাবিলা নিয়ে এখন ব্যতিব্যস্ত। বিশদ

24th  September, 2020
স্বাবলম্বী শরীর কোভিড রুখতে সক্ষম
মৃন্ময় চন্দ 

সারা পৃথিবী আশঙ্কিত। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎই এক স্বেচ্ছাসেবক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গোটা পৃথিবীর বিশ্বাস অক্সফোর্ডের ‘কোভিশিল্ডেই’ মিলবে করোনার হাত থেকে নিষ্কৃতি।  
বিশদ

23rd  September, 2020
বারবার তাঁর হাতে দেখি মৃত্যুর পরোয়ানা 
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের স্কুলের এক শিক্ষক বলতেন, যে একবার ভুল করে, সে অজ্ঞতা থেকে করে। তিনবার পর্যন্ত ভুল অজ্ঞতা থেকে হতে পারে। কিন্তু কেউ যদি বারবার ভুল করতে থাকে, তবে বুঝতে হবে, সে ইচ্ছে করেই ভুল করছে এবং তার পিছনে কোনও দুরভিসন্ধি আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মোদিমশাইয়ের বারবার ভুল করা দেখে সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেল। 
বিশদ

23rd  September, 2020
কৃষি সংস্কার: দেখনদারির
মোড়কে আশঙ্কার মেঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভূতনাথ পাল। কেতুগ্রামের বিল্বেশ্বর এলাকায় বাড়ি ছিল তাঁর। অনেক কষ্টে ধারদেনায় ডুবে আলুচাষ করেছিলেন। ভেবেছিলেন, এখন আলুর বাজারটা ভালো যাচ্ছে। ক’টা দিন তো কষ্ট... তারপরই সুদিন আসবে। সুদিন মানে, দু’বেলা দু’মুঠো...। 
বিশদ

22nd  September, 2020
এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর
দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
জয়ন্ত কুশারী
 

এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
‘মা বুঝি চইলাছে কোয়ারেন্টিনে...’ বরেণ্য লোকগীতি শিল্পী অমর পাল জীবিত থাকলে বুঝি এমনটাই গাইতেন। যদিও তিনি গেয়েছিলেন, ‘মা বুঝি কৈলাসে চইলাছে...’ 
মহালয়া থেকে সপ্তমী, দিন পঁয়ত্রিশের এই ব্যবধান পাল্টে দিল এমন একটি গানের লাইন। আসলে মানুষের মুখে মুখে এখন যে ফিরছে এই কথাটি। 
বিশদ

21st  September, 2020
কেন্দ্রের কথার খেলাপ, রাজ্যগুলোর অর্থাভাব
পি চিদম্বরম

কর ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) একটা ভয়ানক লড়াই হয়ে উঠেছে। যে অর্থনীতিতে পূর্বাহ্নেই দ্রুত পতনের সূচনা হয়েছিল, সেটা যখন মহামারীতে আরও বিধ্বস্ত হল তখন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিরাট বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। 
বিশদ

21st  September, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, কান্দি: মঙ্গলবার দুপুরে কান্দি পুরসভার বাঁধাপুকুর থেকে এক প্রৌঢ়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম শান্তিরানি প্রধান(৫০)। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস।   ...

  একটি দেশের সদিচ্ছা এবং সহযোগিতার অভাবে ২০০-এ মুম্বইয়ে এবং ২০১৬-তে পাঠানকোটে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা এখনও ন্যায়বিচার পাননি। পাকিস্তানের নাম না করে এভাবেই ইমরান প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছে ভারত। ...

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর। করসেবকরা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো বাবরি সৌধ। ২৮ বছর পরে সেই ধ্বংস মামলার বহু প্রতীক্ষিত রায় ঘোষণা করতে চলেছে ...

 নতুন উদ্যমে মাঠে নামার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল যাত্রাশিল্পে। অপেক্ষার প্রহর গোনার পালা চলছিল। আনলক পর্বে একে একে যখন সব কিছুই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অনুবাদ দিবস
১৯১৯: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা ঐতিহাসিক শিবনাথ শাস্ত্রীর মৃত্যু
১৮২৮ - ভারতীয় যোগী ও গুরু যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী বা লাহিড়ী মহাশয়ের জন্ম
১৮৬০: ব্রিটেনে প্রথম ট্রাম চালু হয়
১৮৬৪ - ব্রিটিশ ভারতীয় দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের মহারাণী সুনীতি দেবীর জন্ম
১৮৭৫: শিক্ষাবিদ প্যারীচরণ সরকারের মৃত্যু
১৯২২: পরিচালক হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৮: পেনিসিলিনের আবিষ্কারের কথা প্রথম ঘোষিত হয়
১৯২৯: বিবিসি প্রথম পরীক্ষামূলক টিভি সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩: নাট্যকার ও অভিনেতা অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৯: ব্রিটেনে পরিচয়পত্র প্রথা চালু হয়।
১৯৬২: অভিনেতা প্রসেনজিতের জন্ম
১৯৭২: গায়ক শান-এর জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৪ টাকা ৭৪.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯৩.২২ টাকা ৯৬.৫২ টাকা
ইউরো ৮৪.৫৭ টাকা ৮৭.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১, ১৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮, ৫২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯, ২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০, ৮৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬০, ৯৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ আশ্বিন ১৪২৭, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, চতুর্দশী ৪৭/৪৮ রাত্রি ১২/২৬। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৫৪/১৯ রাত্রি ৩/১৫। সূর্যোদয় ৫/৩১/২১, সূর্যাস্ত ৫/২২/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৬ গতে ৭/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১৮ গতে ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/২৭ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৪/০ মধ্যে।
১৩ আশ্বিন ১৪২৭, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, চর্তুদশী রাত্রি ১১/৫১। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৩/৪৮। সূর্যোদয় ৫/৩১, সূর্যাস্ত ৫/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৭/৫৪ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১ গতে ৬/৫১ মধ্যে ও ৮/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/২১ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/২৮ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৪/০ মধ্যে।
১২ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি  
মেষ: ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সাবধান। বৃষ: কোনও সম্পদ লাভে আনন্দিত ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
আন্তর্জাতিক অনুবাদ দিবস১৯১৯: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা ঐতিহাসিক শিবনাথ শাস্ত্রীর ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৭ রানে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স

11:29:24 PM

আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস ৯০/৮ (১৫ ওভার) 

11:04:31 PM

আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস ৬১/৫ (১০ ওভার) 

10:41:22 PM

আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস ৩৬/২ (৫ ওভার) 

10:12:30 PM