কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
শহরের কোনও এলাকা প্লাবিত হলে সেই এলাকার বাসিন্দারা যাতে আশ্রয় নিতে পারেন, সেজন্য ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে ওসমানিয়া মাদ্রাসা ও বাচামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পুরাতন মালদহের পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্গতদের জন্য ত্রাণ শিবির খুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যাতে সেখানে ভালোভাবে থাকতে পারেন, সেজন্য সবরকম পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পুরাতন মালদহ শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অনেকখানিই নদীর অসংরক্ষিত এলাকার অন্তর্ভুক্ত। সেই এলাকার বাসিন্দা টিংকু শেখ, বিনয় দাসরা বলেন, গত কয়েক মাসে এনিয়ে আমাদের মধ্যে কেউ দু’বার, কেউ তিনবার করে বাড়ি ছাড়া হয়েছি। একেকবার করে নদীর জল বাড়ে আর আমাদের বাড়ি ছেড়ে ওই ত্রাণ শিবিরে গিয়ে উঠতে হয়। সপ্তাহ কয়েক আগেই শেষবার ত্রাণ শিবির থেকে ফিরেছিলাম। বাড়ি আসতে না আসতেই আবার সেই ত্রাণ শিবিরেই আশ্রয় নিতে হল।
সেই ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর তথা প্রাক্তন কাউন্সিলার সফিকুল ইসলাম বলেন, এবছর বাসিন্দাদের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। বারবার তাঁদের ত্রাণ শিবিরে গিয়ে উঠতে হচ্ছে। আমরা সেই অসহায়দের পাশে দাঁডানোর সবরকম চেষ্টা করছি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় ফের মালদহে মহানন্দা নদীর জলস্তর বেড়েছে। প্রায় ২১.২৮ সেন্টিমিটার জলস্তর বাড়ায় এবার নদীর জল সংরক্ষিত এলাকাতেও ঢুকতে শুরু করেছে। সেজন্যই আরও নানা এলাকার বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে এসে উঠতে হচ্ছে। পুজোর মুখে বারবার এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তাঁরা হতাশায় ভুগছেন। এদিকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে শহর লাগোয়া গ্রামগুলিতে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গঙ্গা নদীর পাশাপাশি টাঙন এবং পুনর্ভবা নদীর জলস্ফীতির কারণে বহু এলাকার কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। যদিও সেচ দপ্তরের কর্তারা প্রতিটি নদীতেই সকাল-সন্ধ্যা নজরদারি চালাচ্ছেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
মালদহের সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত বলেন, গঙ্গা ও মহানন্দা নদীর জল বাড়ছে। ফুলহরের জল কিছুটা কমেছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।
জেলা কৃষি দপ্তরে ডেপুটি ডিরেক্টর অশোককুমার সর বলেন, কৃষিতে এখনও মারাত্মক কিছু প্রভাব পড়েনি। কিছু জায়গায় জল দাঁড়িয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে জানতে পেরেছি।
প্রসঙ্গত, পুরাতন মালদহ এবং ইংলিশবাজার শহরের মহানন্দা নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রচুর বাসিন্দা বসবাস করেন। তাঁদের বাড়ি নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হওয়ায় প্রতিবছরই নদীতে জল বাড়লে তাদের বাড়িঘরে জল ঢুকে যায়। তখন ভরসা সরকারি ত্রাণ শিবির। এবছর প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার সেই ভোগান্তিও আরও বেশি করে হচ্ছে। এদিনও অনেকের বাড়িতে জল ঢোকায় তাঁরা বাড়িছাড়া হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।