কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
শুধু অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড নয়, নোভাভ্যাক্স নামে আরও একটি কোম্পানির ভ্যাকসিন তৈরি করবে সিরাম। এটিও পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরে রয়েছে। তা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে ভারতীয় কোম্পানিকে অর্থ অনুমোদন করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বিষয়টিকে ‘রিস্ক ফান্ডিং’ বলেই তকমা দিয়েছে গেটস ফাউন্ডেশন। ভ্যাকসিন প্রস্তুতের ক্ষেত্রে নিয়ম হল, তার সাফল্য বা ব্যর্থতার অপেক্ষায় বসে না থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের গতিবিধি দেখেই উৎপাদন শুরু করে সংস্থাগুলি। যাতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় সফল ঘোষণার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বাজারে আনা যায়। কোভিডের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত জরুরিও বটে।
এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে করোনাকে কাবু করার লক্ষ্যে ১৩৮টি ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। মাত্র ২৯টি অবশ্য মানবদেহে পরীক্ষার স্তরে রয়েছে। উন্নত ও উন্নয়নশীল প্রতিটি দেশই ট্রায়াল শেষ করে ভ্যাকসিন বাজারে আনার ইঁদুর দৌড়ে শামিল। ভারতেও জোর দেওয়া হচ্ছে দেশীয় প্রযুক্তির টিকা কোভ্যাকসিনের উপর। ভারতের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও করোনা ইস্যুতে নয়াদিল্লির গা ছাড়া মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট।’ পত্রিকার সম্পাদকীয়তে করোনা পরিস্থিতিতে ভারতের আচরণকে ‘মিথ্যা আশাবাদী’ তকমা দেওয়া হয়েছে। যা ভারতের পক্ষে ভয়ঙ্কর বিপদ বলেই উল্লেখ রয়েছে শিরোনামে।
ল্যানসেট বলছে, জুন মাসে লকডাউন তুলে দেওয়ার পর থেকেই ভারতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কেন্দ্র, রাজ্য, শহর এবং গ্রামের তথ্যের মধ্যে অমিল থাকছে। ভারতের মতো বড় দেশে যে পরিমাণ সংক্রমণ বা মৃত্যুর হিসেব দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক এই স্বাস্থ্য পত্রিকা। তাদের আরও দাবি, করোনা জনমানসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সেই আশঙ্কায় সংবাদমাধ্যমগুলিকে সংযত খবর পরিবেশনের পরমার্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যার জেরে পেশাদার বৈজ্ঞানিক সংস্থাও বাস্তব পরিস্থিতির কথা ঠিকমতো জানাতে পারেনি।
এ ব্যাপারে আইসিএমআরের ডিজি ডঃ বলরাম ভার্গবের ‘১৫ আগস্টের মধ্যে বাজারে ভ্যাকসিন আনার’ বিতর্কিত চিঠির প্রসঙ্গটি টেনে এনে খোঁচা দিয়েছে ল্যানসেট। বলেছে, আশাবাদী হওয়া ভালো। তবে অতি-ইতিবাচক মনোভাব অনেক সময়ই বাস্তব অবস্থাকে বিভ্রান্ত করে। তাই বৈজ্ঞানিক দিককে মান্যতা দিতেই হবে। ভারতীয় নেতৃত্বকে বন্ধ করতে হবে এই ‘মিথ্যা আশাবাদী’ আচরণ।