বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণের কোনও আশঙ্কা নেই। কেন্দ্রের অনুরোধে ১৭টি রাজ্যে শুধু করোনার জন্য আলাদা হাসপাতাল গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, যে হারে তা বাড়ছে তাকে স্থিতিশীল বলেই মনে করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীর, গুজরাত এবং রাজস্থানে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে কাশ্মীরে এই প্রথম মারণ ভাইরাসে কারও প্রাণহানি হল। এদিন সকালে হায়দারপোরার বাসিন্দা, ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর মেলে। মৃত ব্যক্তি কীভাবে আক্রান্ত হলেন, সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন ডাক্তাররা। তাঁর সংস্পর্শে আসা চারজনের দেহে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। গতকাল রাতে গোয়াতেও প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গুজরাতেও করোনার জেরে মারা গিয়েছেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ। এনিয়ে সে রাজ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ মার্চ মুম্বইতে মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। এদিন তাঁর লালারস পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। রাজস্থানের ভিলওয়াড়ায় জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭৩ বছরের এক বৃদ্ধের। কিডনি ফেলিওয়ের কারণে তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। এছাড়া এদিনই জয়পুর ও ঝুনঝুনুতে দু’জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।
এদিন সকালেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মহারাষ্ট্রে তিনজন, গুজরাতে দু’জন, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, বিহার, কর্ণাটক, পাঞ্জাব, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে একজন করে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত ১২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আজ নতুন করে একজন মুম্বইয়ের বাসিন্দা, একজন থানের বাসিন্দার দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরপরেই রয়েছে তেলেঙ্গানা। সেখানে আক্রান্ত ৪৩ জন। মহারাষ্ট্রের পরই রয়েছে কেরল। সেখানে আক্রান্ত ১১৮ জন। দিল্লিতে সংক্রামিতের সংখ্যা ৩৬। গতকাল দিল্লির মৌজপুরে যে চিকিৎসকের করোনা সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছিল, তিনি সৌদি আরব থেকে আসা এক করোনা আক্রান্ত মহিলার সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকের স্ত্রী, মেয়েও সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। চিকিৎসক ছাড়া আরও চারজন ওই মহিলার সংস্পর্শে এসেছিলেন। ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা ৮০০ জনকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, নাগপুরে প্রথম আক্রান্তের দ্বিতীয় পরীক্ষায় করোনা ধরা না পড়ায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও পদ্ধতি নিয়ে আজ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও অন্যান্য সেনাপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।