বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মাঝ আকাশেই জ্বালানি ভরতে পারে এয়ারফোর্স ওয়ান। তাছাড়া, প্রেসিডেন্টের ইচ্ছেমতো বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে উড়ে যেতে সক্ষম এই বিমানটি। এর সুরক্ষা ব্যবস্থাও অত্যাধুনিক মানের। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রশ্মি থেকে সহজেই রক্ষা পাবে বিমানটি। এছাড়াও আকাশপথে প্রেসিডেন্টকে সুরক্ষিত রাখতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি, উন্নতমানের যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এয়ারফোর্স ওয়ানের মধ্যেই অত্যাধুনিক সরঞ্জাম মজুত থাকে।
তবে, ট্রাম্প প্রথম নন, জন কেনেডির আমল থেকেই প্রেসিডেন্টদের জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করছে মার্কিন প্রশাসন। ১৯৬২ সালে বোয়িং ৭০৭-এর একটি আধুনিক সংস্করণ ব্যবহার করা হতো। প্রায় তিন দশক পর ১৯৯০ সালে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লু বুশের সময় নতুন বিমান ব্যবহার করা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে আরও বেশি কিছু আধুনিক প্রযুক্তি ও বৈশিষ্ট্য সম্বলিত বিমানে সওয়ার হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা।
বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা সূত্রে খবর, যে বিমানটি করে ট্রাম্প ভারতে আসবেন তার ফ্লোর এরিয়া প্রায় চার হাজার স্ক্যোয়ার ফিট। এর তিনটি আলাদা আলাদা ভাগ রয়েছে। প্রেসিডেন্টের থাকার জন্য সম্পূর্ণ পৃথক একটি স্যুইট আছে। তাতে রয়েছে বিরাট একটি অফিস, কনফারেন্স রুম সহ একাধিক পরিষেবা। এছাড়া, তাত্ক্ষণিক চিকিত্সার জন্যও আধুনিক বন্দোবস্ত রয়েছে বিমানে। সফরে সর্বক্ষণ একজন ডাক্তার থাকেন। প্রয়োজন পড়লে অস্ত্রপচার করার জন্যও আলাদা ঘর রয়েছে এয়ারফোর্স ওয়ানে। এছাড়া প্রায় ১০০ যাত্রীর খাবার তৈরির জন্য রান্নাঘরও আছে এতে। প্রেসিডেন্টের এই বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা একটি বিভাগ রয়েছে। তার নাম প্রেসিডেন্সিয়াল এয়ারলিফ্ট গ্রুপ। হোয়াইট হাউসের মিলিটারি অফিসের অধীনে এই বিভাগ কাজ করে। ১৯৪৪ সালে তত্কালীন প্রেসিডেন্টের ফ্রেঙ্কলিন রুজভেল্টের নির্দেশে এই গ্রুপটি তৈরি করা হয়।