সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
প্রশ্ন উঠছে, কেন বিষয়টি এতটা গুরুতর? কেনই বা আতঙ্ক? কারণ, বর্তমানে চীন থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস ‘জনস্বাস্থ্যের পক্ষে বিপদ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। চীনফেরত নেপালের একজন আক্রান্ত হওয়ায় ইতিমধ্যে বাংলা-নেপালের তিনটি সীমানায় সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এই চীনা নাগরিকের ঘটনায় যদিও পরে আইডি হাসপাতাল জানায়, ওই মহিলার করোনা সংক্রমণ হয়নি। করোনার সঙ্গে উপসর্গগত মিলও নেই।
আইডি সূত্রের খবর, জো হুয়ামিন ট্রেকিং করতে ভালোবাসেন। ছ’মাস আগে দেশ থেকে বেরিয়ে পড়েন। প্রথমে যান নামিবিয়া। তারপর মরিশাস, মাদাগাস্কার হয়ে ভারতে আসেন ২৪ জানুয়ারি। চিকিৎসকদের তিনি জানান, ট্রেনে যাওয়ার সময় সেখানকার খাবার খেয়ে দুই থেকে ছ’ঘন্টার মধ্যে তাঁর বেশ কতগুলি উপসর্গ দেখা যায়। যেমন, মাথাব্যথা, গা গোলানো এবং পেটে ভীষণ অস্বস্তিবোধ ইত্যাদি। ।
সোমবার দুপুরে আইডি’র অধ্যক্ষা ডাঃ অনিমা হালদার বলেন, সম্ভবত আতঙ্কিত হয়েই উনি ভর্তি হয়েছিলেন। কারণ, করোনার প্রধান উপসর্গগুলির কোনওটাই তাঁর ছিল না। যেমন, সর্দি, কাশি, শ্বাসনালীর সংক্রমণের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট কোনওটাই ছিল না।
এদিকে, যত সময় গড়াচ্ছে, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস (২০১৯-এনসিওভি) নিয়ে নানা তথ্য উঠে আসছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনার সঙ্গে এর আগে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী সার্স বা সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রম-এর (সার্স-সিওভি) ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ মিল পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রথমে সামুদ্রিক প্রাণী থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর খবর মিললেও এখন জানা যাচ্ছে, বাদুড়ই এই রোগের প্রাথমিক উৎস। প্রসঙ্গত, বন্য এবং অদ্ভূতদর্শন জন্তু থেকে সার্স ছড়িয়েছিল মানুষে। আর মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রম বা মার্স (মার্স-সিওভি) ছড়িয়েছিল উট থেকে মানুষে। দুটি ক্ষেত্রেই রোগের প্রাথমিক উৎস সম্ভবত ছিল বাদুড়ই।
এখন প্রশ্ন হল, এবার তাহলে কীভাবে করোনা ভাইরাস ছড়াল চীনের ইউয়ান-এ? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইউয়ানের সামুদ্রিক প্রাণী এবং মাছের বাজার বিশাল। সেখানে সাপও বিক্রি হয়। বাদুড়কে সেখানে সাপ খেয়ে থাকে। তাই সম্ভবত বাদুড় থেকে করোনা সংক্রামিত হয়েছিল সাপে। সেই সাপ খেয়ে তা ছড়ায় মানুষে।
বিকেলে এ প্রসঙ্গে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত প্রথম ৪১ জন রোগী নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে উল্লেখযোগ্য তথ্য মিলেছে। ল্যানসেটে প্রকাশিত সেই গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে কতগুলি উল্লেখযোগ্য তথ্য। যেমন—প্রথম আক্রান্ত ৪১ জন রোগীর মধ্যে ৯৮ শতাংশেরই জ্বর। ৭৬ শতাংশের কাশি ৫৫ শতাংশের শ্বাসকষ্ট ৪৪ শতাংশের অবসন্নতা। ঘনঘন থুতু ২৮ শতাংশের। আট শতাংশের মাথাব্যথা তিন শতাংশের ডায়ারিয়া সব রোগীরই নিউমোনিয়া এআরডিএস ২৯ শতাংশ রোগীর। এছাড়া হার্টের প্রবল সমস্যা ছিল ১২ শতাংশের রোগীর। সায়ন্তনবাবু জানান, প্রথম আক্রান্তদের তিনভাগের একভাগকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়। মারা যান ১৫ শতাংশ রোগী বা ছ’জন।