সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
এই নিয়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং দক্ষিণ ভারতেও তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। সেই কারণে এবার জাতিগত সেন্সাসে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এমনকী জাতপাতের ভিত্তিতে যে তথ্যাবলী সংগ্রহ করা হবে, তার প্রকৃতি নিশ্চয়তার লক্ষ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে সরকারি তালিকায় যতগুলি জাতি ও উপজাতি রয়েছে, সেগুলির নামের পাশে একটি করে প্রি-কোড তৈরি করা হয়েছে। যাতে গণনাকারী যখন ওই আবেদনপত্রে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের জাতিগত পরিচয় নথিভুক্ত করবে, তখন নামের পাশাপাশি একটি কোডও লেখা হয়। এই কোডের মাধ্যমে সেন্সাসের তথ্যাবলীকে সংযুক্ত করে জানা যাবে ভারতে মোট কত সংখ্যক তফসিলি জাতি ও উপজাতি আছে এবং ওই প্রত্যক্ষ জাতি ও উপজাতির আওতায় কত উপ সম্প্রদায় রয়েছে (সাব-কাস্ট)। এভাবে আরও যে তথ্য গ্রন্থিত হবে, সেটি হল, ভারতের তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের আর্থ-সামাজিক জীবনযাপনটি ঠিক কেমন। অর্থাৎ তাদের আয়ের উৎস কী? বিলাসদ্রব্য কতজন ব্যবহার করে? কোন কোন খাদ্যশস্য খাদ্যাভ্যাসের অন্তর্গত ইত্যাদি।
এবার গণনাকারীদের সমীক্ষার আগে যে জাতিগত অভিধান দেওয়া হবে সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি তালিকায় থাকা তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের সংখ্যা দেওয়া থাকবে। এই তালিকার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তফসিলি জাতির সংখ্যা ৬০ এবং তফসিলি উপজাতির সংখ্যা থাকছে ৪০। ওড়িশার ৯১ টি তফসিলি জাতি ও ৬২টি উপজাতির তালিকা থাকবে। তফসিলি জাতি ও উপজাতির আওতার সাধারণত থাকে বহু উপ-সম্প্রদায়। সেই তালিকার সঠিক পরিসংখ্যান ভারত সরকারের কাছে নেই। আর ঠিক সেই কারণেই মাঝেমধ্যেই রাজ্যে রাজ্যে জাতিগত সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন, বিক্ষোভ, বঞ্চনার অভিযোগ উত্থাপিত হয়। সেই সমস্যা মোকাবিলায় এবং আগামীদিনে দলিত ও আদিবাসী উন্নয়নের রূপরেখা নির্ধারণের সঠিক দিশানির্দেশ পাওয়ার লক্ষ্যে নিখুঁত পরিসংখ্যান থাকা জরুরি মনে করছে কেন্দ্র।