সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি, ২২ জানুয়ারি: প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার ৯টি পরিকাঠামো প্রকল্প সময়সীমার থেকে অনেক দেরি করে চলছে। যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন। মোট ৯টি রাজ্য জুড়ে এই ৯টি প্রকল্প সময়মতো সমাপ্ত না হওয়ায় ভারতের অর্থনীতির উপর বড়সড় প্রভাব ফেলছে। ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, কর্ণাটক, কেরল, উত্তরপ্রদেশ এবং তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই প্রকল্পগুলি রূপায়ণের কাজ চলছে। ২৪ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পগুলি আটকে থেকেছে দীর্ঘদিন। এখনও যে গতিতে কাজ হচ্ছে তা মোটেই ইতিবাচক নয় বলেই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। আজ এই ৯টি প্রকল্পকে যেভাবেই হোক যত দ্রুত সম্ভব সমাপ্ত করার দিকে অগ্রসর হতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির মধ্যে তিনটি রেলওয়ে প্রকল্প, পাঁচটি সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের প্রকল্প, একটি পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসের আওতায়। আজ এই মন্ত্রকের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে দেশের পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রগতি নামক একটি বিশেষ ব্যবস্থার আওতায় মোট ১২ লক্ষ কোটি টাকার পরিকাঠামো প্রকল্প মনিটর করার ব্যবস্থা চালু হয়েছিল ২০১৫ সালে। প্রগতি স্কিমের আওতায় পরিকাঠামো প্রকল্প নিয়ে মোদি সরকার বিশেষ আশাবাদী ছিল। কারণ, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম লক্ষ্য করা গিয়েছিল যে, সবথেকে পিছিয়ে পড়া সেক্টর পরিকাঠামো। ইউপিএ সরকারের আমলে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে শ্লথ গতিকে আরও গতিশীল করার জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ নিয়েছিল মোদি সরকার। মোট ২৬৯টি প্রকল্পকে চিহ্নিত করা হয়। ১৭টি সেক্টরকে ঘিরে থাকা এই প্রকল্পগুলি একপ্রকার অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি।
বিগত ৪ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী বারংবার রিভিউ মিটিং করেছেন। কিন্তু তার পরও দেখা যায় ক্রমেই দেশের অর্থনীতি চরম সঙ্কটজনক অবস্থায়। বিগত বছরের শেষ চার মাসে একের পর এক ব্যবস্থা, আর্থিক প্যাকেজ, অনুদান ঘোষণা করা হলেও বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। বস্তুত অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে কিছুটা পিছনের সারিতে রেখেই এবার অর্থনীতির রাশ ধরতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে। আজ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে একটি প্রকল্প নিয়ে পৃথকভাবে আলোচনা করেন। সেটি হল প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা। এই বিমা দুটি নিয়ে একঝাঁক অভিযোগ এসেছে।